পশু হাটের নির্ধারিত মাঠে পশু আছে। পাশের সড়ক দখল করেও রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা পশু। এতে রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এ কারণে এলাকার লোকজনকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পশু হাটে প্রতি বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ চিত্র দেখা যায়।
দূর থেকে দেখলে পশুর হাটই মনে হয়। তবে তা পশুর হাট নয়। আলমডাঙ্গা শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম একটি সড়ক। এটি আলমডাঙ্গা লাল ব্রিজ থেকে জামজামি পর্যন্ত।
স্থানীয়রা জানান, মাসের ৪টি বুধবার মূল হাটে গরু থাকুক বা নাই থাকুক রাস্তার ওপর গরু থাকবেই। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অসহ্য জ্যামে নাকাল হচ্ছে শহর-গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এটা এতটাই বিরক্তিকর ও ভয়ের যে রাস্তা সংলগ্ন অনেক দোকানি হাটের দিন দোকান বন্ধ রাখেন।
হাট সংলগ্ন এ বি কনস্ট্রাকশনের কর্ণধার ইঞ্জিনিয়ার মো. আসাদুল হক বলেন, রাস্তা নোংরা আর গোবর গো-চোনায় ভরা। দোকানের সামনেই গরু বাছুরের দৌড়াদৌড়ি আর মারামারি। গরুর গুঁতো খাওয়া বা লড়াইয়ের মাঝে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই বেশির ভাগ দোকানি বুধবার দোকান বন্ধ রাখেন। হাটের দিনে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজেও যেতে পারে না।
আলমডাঙ্গা ক্যাডেট অ্যাকাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্রী রুপর্ণা বলে, ‘প্রচণ্ড ভিড় আর গরু-মহিষের ঠাসাঠাসি। ভয় ও বিরক্তি লাগে। তাই বুধবার স্কুলে যাই না।’
এ বিষয়ে হাটের ইজারাদার হাসানুজ্জামান হান্নান বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি। একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’ আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু মিয়া বলেন, ‘আমি জানি ব্যাপারটিতে অনেক জনদুর্ভোগ হচ্ছে। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য আরও বেশি সমস্যা। তা ছাড়া জ্যামের প্রভাব শহরের অন্য সড়কেও পড়ছে। যা হোক, আমি দেখছি ব্যাপারটা।’