বদরগঞ্জে টানা দুই দিনের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় সবজি ও আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। বিশেষ করে উপশী ও হাইব্রিড জাতের আগাম ধান খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আধা পাকা ধানগাছ নুয়ে পড়েছে জমিতে। এতে বড় ধরনের ফসল হানির শঙ্কা করছেন চাষিরা।
জামালপুর গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, দুই দিনের বৃষ্টি বাদলে গুটি স্বর্ণা জাতের এক বিঘা জমির ধানগাছ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। সেখান থেকে ২০ মণ (২৮ কেজি মন) ধান পাওয়াও সম্ভব নয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের হাইব্রিড ও উপশী জাতের ধান চাষ হয়। ইতিমধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলায় ১ হাজার ৮৬৪ হেক্টর জমির আগাম জাতের ধান কাটা হয়েছে।
কৃষি অফিসের দাবি, বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় উপজেলার ৫০ থেকে ৬০ হেক্টর জমির ধানগাছ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বৃষ্টির কারণে আলু রোপণ ১০ থেকে ১৫ দিন পিছিয়ে গেছে। কিছু সবজির ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষকদের দাবি, বৃষ্টি ও বাতাসে কয়েক শ হেক্টর জমির ধানগাছ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, গত মঙ্গল ও বুধবারের টানা বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়ায় রবি ও আমন ধানে কৃষকের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে আগাম জাতের ধানে কোনো ক্ষতি না হলেও গাছ মাটিতে নুয়ে পড়ায় কাটা-মাড়াইয়ে শ্রমিক খচর একটু বেড়ে যাবে।