মাওলানা ইমরান হোসাইন
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পুরো মানবজাতিকে আলোর পথে পরিচালিত করার ব্রত নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন। পুরো বিশ্বজগতের জন্য আল্লাহ তাঁকে রহমত বলে ঘোষণা করেছেন। আমরা তাঁর উম্মত। তাঁর বহুমুখী অবদানের জন্য আমরা তাঁর কাছে ঋণী। তাঁর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আমাদের জন্য আবশ্যক। তাঁকে ভালোবাসার অন্যতম দাবি হলো, তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করা। তাঁর জন্য রহমতের দোয়া করা। এটি আমাদের প্রতি আল্লাহ তাআলার স্বতন্ত্র নির্দেশও। এমনকি আল্লাহ তাআলা নিজে ও তাঁর ফেরেশতাগণও নবীজির জন্য দরুদ পড়েন। (সুরা আহযাব: ৫৬)
দরুদ পাঠে যেমন নবীজির প্রতি কৃতজ্ঞতা পালন হয়, তেমনি আমাদের জন্যও রয়েছে অশেষ সওয়াব। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমার জন্য একবার রহমতের দোয়া করবে, আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি দশটি রহমত নাজিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন এবং (জান্নাতে) তার জন্য দশ স্তর মর্যাদা সমুন্নত করবেন।’ (নাসায়ি: ১২৯৬)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি সর্বাধিক দরুদ পড়বে, সে কেয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন হবে।’ (তিরমিজি: ৪৮৪)
দোয়া কবুলের অন্যতম শিষ্টাচার হলো দোয়ার শুরুতে আল্লাহ তাআলার প্রশংসাবাক্য উচ্চারণ করা এবং এরপর নবীজির প্রতি দরুদ পাঠ করা; এরপর নিজের কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা। (তিরমিজি: ৩৪৭৭)
মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ-সালাম তাঁর শেখানো বাক্যে পড়াই উচিত। কোনো ব্যক্তি বিশেষের তৈরি করা দরুদ হলে, তাতে ভুলের সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই হাদিসে বর্ণিত শব্দ-বাক্যে দরুদ-সালাম পড়াই নিরাপদ।
মাওলানা ইমরান হোসাইন, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক