দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সপ্তাহের ব্যবধানে চাল ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
উপজেলায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। সেই সঙ্গে প্রতি হালি ডিমের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিমের দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে হাঁস-মুরগির খাবারের দাম বেশি হওয়াকে দায়ী করছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
ফুলবাড়ী বাজার ঘুরে জানা গেছে, চালের মধ্যে প্রতি কেজি গুটি-স্বর্ণা লোকাল ৪০ থেকে ৪৫, অটো ৪৪ থেকে ৪৮, মিনিকেট ৫৫ থেকে ৬০, ব্রি-২৮ চাল ৪৪ থেকে ৪৮, স্বর্ণা ফাইভ ৩৭ থেকে ৪৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
চাল ব্যবসায়ী আকবর আলী বলেন, ধানের দাম বেশি হওয়ায় প্রতি বস্তা চালের দামও বেড়েছে।
ধান ব্যবসায়ী লিটন গুপ্ত জানান, বর্তমানে মিনিকেট চালের ধান বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ২ হাজার ৪৮০ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২ হাজার ৩২০ টাকা। এ ছাড়া মোটা হাইব্রিড ৭৫০ টাকা ও ব্রি-২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা মণ। বস্তাপ্রতি ধানের মূল্য বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন।
অপরদিকে লাল ডিম এক হালি বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে ৪০ টাকা এবং খুচরা ৪২ থেকে ৪৮ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা। সাদা ডিম প্রতি হালির দাম পাইকারি বাজারে ৩৮ এবং খুচরায় ৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে তা ছিল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। তবে দেশি মুরগির ডিমের দাম প্রতি হালি ৬০ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিম ব্যবসায়ী সুমন সাহা বলেন, ফিডের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে খামারিরা ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সেই অনুযায়ী বিক্রি করা হচ্ছে।
পোলট্রি খামারি শাহিনুর ইসলাম জানান, ফিডের মূল্য বেশি হওয়ায় তাঁরা পোষাতে পারছেন না।
বাজার করতে আসা কাঁটাবাড়ী গ্রামের রাহাদ গাজি বলেন, ‘বাজারে চাল কিনতে এসে দেখি কেজি প্রতি ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্গে হঠাৎ চালের মূল্য বৃদ্ধিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
ফুলবাড়ী চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবু জানান, এ বছর স্থানীয়ভাবে ধানের চাষ কম হয়েছে। অনেক কৃষকের ধান নষ্ট হয়েছে। দক্ষিণ অঞ্চলের কিছু জায়গায় বন্যা হয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক ব্যবসায়ী ধান কিনে মজুত করছেন। তাই চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে ধানের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।