বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৪৭) নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে রাত পৌনে ১১টার দিকে বগুড়ার ফুলতলা চককানপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাতের শিকার হন তিনি। এ ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহত জহুরুল চককানপাড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি অ্যাম্বুলেন্সচালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। জহুরুলের স্বজনদের দাবি, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মো. রাব্বী (২৪) ছুরিকাঘাত করেছেন জহুরুলকে। রাব্বী পেশায় প্রাইভেট কারের চালক।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই বাকিরুল। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া আরও তিন-চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পরই চককানপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রাব্বীর বাবা হারুন, সেলিম, সাদিক। এ তিনজনই চককানপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানান বগুড়ার কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু কামাল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে চককানপাড়া এলাকায় রাস্তায় প্রাইভেট কার রেখে মদপান করছিলেন রাব্বীসহ আরও কয়েকজন যুবক। মদপান শেষে তাঁরা প্রাইভেট কারের কাছে এসে দেখেন, গাড়ির পার্কিং লাইট ভাঙা। এ সময় ওই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনেই আড্ডা দিচ্ছিলেন বাপ্পীসহ আরও কয়েক যুবক। রাব্বী সন্দেহ করেন, ওই যুবকেরাই তাঁদের গাড়ির পার্কিং লাইট ভেঙেছেন। এ নিয়ে বাপ্পীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন রাব্বীসহ অন্যরা। এতে বাপ্পী রাব্বীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তী সময়ে বাপ্পীর চাচা জহুরুল চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। এ সময় তিনি রাব্বীকে গালিগালাজ করছিলেন। একপর্যায়ে রাব্বীসহ অন্যরা জহুরুলকে মারধর শুরু করেন। ওই সময়ই জহুরুলকে ছুরিকাঘাত করেন রাব্বী।
নিহতের স্বজনদের দাবি, রাব্বী গাড়ির লাইটের বিষয় নিয়ে বাপ্পীসহ কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় রাব্বীর বাবা ঘটনাস্থলে আসেন। চেঁচামেচি শুনে জহুরুল বাড়ি থেকে বের হয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় জহুরুলকে ছুরিকাঘাতে খুন করেন রাব্বী।
এসআই রাজু কামাল জানান, গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে গতকাল শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।