কক্সবাজারের চেয়ে রোহিঙ্গারা ভাসানচরে অনেক ভালো রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহ্হাব। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর আন্দরকিল্লায় জেলা রেডক্রিসেন্ট কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে গত মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস (আইএফআরসি) ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির শীর্ষ নেতারা ভাসানচরে ঘুরে আসেন।
এটিএম আব্দুল ওয়াহ্হাব এ সময় বলেন, সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় অংশ নিয়ে আসছে। কক্সবাজারে অবস্থানরত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যেও সোসাইটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য, পানি, পয়োনিষ্কাশন, ফুড ও নন-ফুড আইটেম, ভিআরআরসহ বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
আইএফআরসি ও রেড ক্রিসেন্টের সোসাইটির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক আলেক্সান্ডার ম্যাথিউ বলেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার ও ভাসানচর দ্বীপে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ নানা সুযোগ-সুবিধা উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে।
সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য ও জেলা রেড ক্রিসেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম বলেন, ‘শুরুর দিকে ভাসানচরে যাওয়া নিয়ে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ ছিল না। কিন্তু এখন আমরা ভাসানচরে গিয়ে দেখি, সেটা এখন জেনেভায় পরিণত হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইএফআরসি বাংলাদেশের হেড অব কান্ট্রি সনজীব কুমার কাফলে, সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য সিকদার নুর মোহাম্মদ দুলু, মহাসচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন, জেলা রেড ক্রিসেন্ট সেক্রেটারি মো. আসলাম খান, সিটি রেড ক্রিসেন্ট সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক ও ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার, চট্টগ্রাম সিটি ও জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যকরী পর্ষদ সদস্য মো. আনোয়ার আজম, রাশেদ খান মেনন, মো. আব্দুল মোনাফ, মো. ইসমাইল হক চৌধুরী ফয়সাল প্রমুখ।