Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

মেয়র সাদিকের বিরুদ্ধে সাত কাউন্সিলরের আইনি নোটিশ

বরিশাল প্রতিনিধি

মেয়র সাদিকের বিরুদ্ধে সাত কাউন্সিলরের আইনি নোটিশ

গৃহকর বৃদ্ধি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওএসডি করে রাখা, টেন্ডার ছাড়া হাট-বাজার ইজারা দেওয়া এবং সম্মানী কম দেওয়াসহ ৬টি অভিযোগ তুলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন ৭ কাউন্সিলর। কাউন্সিলরদের পক্ষে আইনজীবী আজাদ রহমান গতকাল রোববার আইনি নোটিশ দেন। পদাধিকার বলে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবকেও আইনি নোটিশ দেওয়া হয়।

অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহসহ অপর দুজন নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে যথাযথ জবাব না দিলে অভিযোগগুলো সত্য বলে ধরে নেওয়া হবে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে নোটিশদাতারা আদালতে আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন।

নোটিশদাতা কাউন্সিলররা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের আমির হোসেন বিশ্বাস, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৌহিদুল ইসলাম বাদশা, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমান বিপ্লব, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হক বাহার, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ মো. আনিচুর রহমান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ন কবীর এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ আহমেদ।

আইনি নোটিশে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো হচ্ছে, দায়িত্ব গ্রহণের পর গৃহকর বৃদ্ধি করা, সরকারি আদেশ-নির্দেশ উপেক্ষা করে নগর ভবন পরিচালনা, পরিষদের প্রথম সভায় কাউন্সিলদের নগর ভবনে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা, অযৌক্তিক অভিযোগ তুলে বিপুলসংখ্যক স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ওএসডি করে রেখে অস্থায়ী কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন, দরপত্র আহ্বান ছাড়াই ব্যক্তি বিশেষকে নগরীর হাটবাজার ইজারা দেওয়া এবং নোটিশদাতা ৭ জন কাউন্সিলরকে সম্মানীর টাকা কম দেওয়া।

সম্মানীর টাকা কম দেওয়ার ক্ষেত্রে কাউন্সিলররা অভিযোগ করেছেন, গত সেপ্টেম্বরে কাউন্সিলরদের মাসিক সম্মানী ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। কিন্তু এই ৭ কাউন্সিলরকে এখনো ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

৭ নম্বর নোটিশ দাতা নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার বলেন, ‘তাঁরা বারবার সম্মানী ভাতাসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈষম্যের সমাধানের জবাব চাইলেও মেয়র সদুত্তর দেননি। মেয়রের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে নগর ভবনের প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে এবং বিসিসি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে জনস্বার্থে আইনি নোটিশ করেছেন।

বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ রোববার বিকেলে জানান, তিনি তখন পর্যন্ত কোনো আইনি নোটিশ হাতে পাননি। নোটিশ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এসব বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না।

উল্লেখ্য, বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বছর না পেরোতেই কাউন্সিলদের একাংশের সঙ্গে মেয়রের অঘোষিত দূরত্ব দেখা দেয়। গত বছর আইনি নোটিশদাতা ৭ জনসহ মোট ৯ জন কাউন্সিলর মেয়রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সদর আসনের সাংসদ পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের সঙ্গে রাজনীতি করার ঘোষণা দেন। পরে উপ নির্বাচনে জয়ী ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন রুবেলও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ