নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ওয়ানডে সিরিজে দলে থেকেও খেলার সুযোগ পাননি হাসান মাহমুদ। টি-টোয়েন্টিতে একাদশে ফিরেই নিজেকে আলোকিত করেছেন। চাপের মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রাখা, নিখুঁত সব ইয়র্কার—ডেথ ওভারে হাসান হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ দলের ভরসার প্রতীক।
ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই শেষে গতকাল প্রথমে সতীর্থদের সঙ্গে উদ্যাপন করলেন। পরে গ্যালারি থেকে ছোট ভাইকে নামিয়ে তাঁর সঙ্গেও সময় কাটালেন। ফাঁকে ফাঁকে দিয়ে গেলেন অটোগ্রাফও। সংবাদমাধ্যমের চাপও সামলালেন। এসবের মাঝেই ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ নিয়ে হাসান বলছিলেন, ‘খুবই ভালো একটা সিরিজ গেছে। ইংল্যান্ডকে একদম হোয়াইটওয়াশ করে দিয়েছি আমরা। বাংলাওয়াশ (হাসি)। ইনশা আল্লাহ, সামনে আমরা একটা শীর্ষ জায়গায় যাব।’
বয়স ২৩ হলেও মাথাটা খুবই পরিষ্কার হাসানের। ডেথ ওভারে নিয়মিত দারুণ বোলিং নিয়ে বলছিলেন, ‘শেষ মুহূর্তে আমি খুবই শান্ত থাকার চেষ্টা করি। পরিকল্পনার বাস্তবায়নটা যাতে ভালো হয়। চাপ থাকে অবশ্যই। তবে সেটা নিজের মধ্যে রাখার চেষ্টা করি সব সময়। ফিল্ডিং অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করি, অধিনায়ক কী চাচ্ছেন সেটাও বোঝার চেষ্টা করি।’ বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি দলটা এগোচ্ছে ২০২৪ বিশ্বকাপ সামনে রেখে। বিসিবিও সেই হিসেবে তরুণদের বাজিয়ে দেখছে এখন থেকেই।
ইংল্যান্ডকে হারানোর মতো এভাবে এগোতে পারলে ২০২৪ বিশ্বকাপে কত দূর যেতে পারবে বাংলাদেশ? কোনো ভণিতা না করেই হাসানের উত্তর, ‘অবশ্যই ভালো কিছুর চেষ্টা থাকবে। দেশকে একদিন বিশ্বকাপ এনে দেব, ইনশা আল্লাহ।’ হাসানদের এই দলে একমাত্র সিনিয়র সাকিব আল হাসান। এই দলটাকে তাঁর ও হাথুরুর নতুন বাংলাদেশ বলা হচ্ছে। হাসান বললেন, ‘দুইজন মিলে দলকে ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’