নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নদী পুনর্খননের সময় মাটির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড়। উপজেলার চিরাংবাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুতী নদীর সুন্দ্রাকান্দা এলাকা থেকে গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ওই খুলি ও হাড়গুলো উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। খবর পেয়ে থানা-পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে মানুষের মাথার এসব খুলি ও হাড় অনেক পুরোনো বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ ও পুলিশ পরিদর্শক শওকত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, উপজেলার চিরাংবাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুতী নদীর পুনখনন কাজ চলছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পাইকুড়া ইউনিয়নের সুন্দ্রাকান্দা এলাকার সেতুর পাশে ভেকু মেশিন দিয়ে খনন করার সময় প্রায় ৮-১০ ফুট গভীর থেকে মাথার খুলি ও হাড়গোড়ের মতো শক্ত কিছু উঠে আসে।
পরে শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন দেখতে পান সেগুলো মানবদেহের মাথার খুলি ও বিভিন্ন অংশের হাড়। এরপর সেগুলো এক সঙ্গে করে মানবদেহের কয়েকটি মাথার খুলি ও হাড়গোড় পাওয়া যায়।
এ খবর জানাজানি হলে স্থানীয় উৎসুক জনতা এসব দেখতে সেখানে ভিড় জমান। অন্যদিকে খবর পেয়ে মাথার খুলি ও হাড়গুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ এবং স্থানীয় পেমই তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক মো. শওকত হোসেনও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে উদ্ধার মাথার খুলি ও হাড়গুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে করে গতকাল শনিবার বিকেলে কেন্দুয়া খানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ জানান, মানবদেহের মাথার এসব খুলি ও হাড়গুলো বহু পুরোনো ও পাথরের মতো শক্ত। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো হয়তো মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হতে পারে। তাই সাম্প্রতিককালের কোনো ঘটনা না হওয়ায় এ জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এসব খুলি ও হাড়গুলো পৌর কবরস্থানে সংরক্ষণ করা হবে। পরে কোনো দাবিদার বের হলে কিংবা প্রয়োজনে এসব খুলি ও হাড়ের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে।