বরকল (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
এক মাসেও খোঁজ মেলেনি সাবেক হেডম্যান লালতন পাংখোয়ার। রাঙামাটি শহর থেকে নিখোঁজ হন তিনি। স্বামীর নিখোঁজের ব্যাপারে বরকল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে রেখেছেন তাঁর স্ত্রী জিনপারী পাংখোয়া। এখনো স্বামীর সন্ধান না পাওয়া দুরবস্থায় পড়েছেন তিনি।
নিখোঁজ লালতং পাংখোয়া জেলার বরকলের আইমাছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৬৪ নম্বর চাইচালপাড়া মৌজার সাবেক হেডম্যান। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে চিকিৎসার জন্য গিয়ে বোর্ডিং থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর বরকল থানায় করা জিডি করে হেডম্যানের স্ত্রী।
থানায় করা জিডি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাইচালপাড়া থেকে প্রতিবেশী নতুন কুমার চাকমা ও তাঁর স্ত্রী কালাবী চাকমার সঙ্গে গত ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য রাঙামাটি শহরে যান লালতন পাংখোয়া। ওই দিন নতুন চাকমার স্ত্রীর চিকিৎসা সম্পন্ন হলেও লালতন ডাক্তার দেখাতে পারেননি।
এ কারণে তারা রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকা শান্তি আবাসিক বোর্ডিংয়ে রুম ভাড়া নিয়ে থাকেন। তবে পরের দিন দুপুরে বোর্ডিং থেকে পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে লালতনকে ডেকে নেওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ আছেন।
জিনপারী পাংখোয়া জানান, স্বামী না থাকায় ৩ সন্তানের লেখাপড়ার খরচও ঠিকমতো দিতে পারছেন না। তিনি এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান।
বরকল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, এখনো লালতন পাংখোয়ার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে খুঁজে বেড় করতে তৎপরতা চলছে। আর সন্ধান পেলে অবশ্যই জানানো হবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নতুন কুমার চাকমা জানান, স্ত্রীর পেটের অসুখের জন্য হেডম্যান লালতনসহ গত ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য রাঙামাটিতে যান।
ওই দিন তাঁর স্ত্রীর ডাক্তার দেখাতে পারলেও হেডম্যান দেখাতে পারেননি। পরে তারা রিজার্ভ বাজারের শান্তি বোর্ডিংয়ে রুম ভাড়া নেন।
তবে পরদিন দুপুরে ৫ জন অচেনা বাঙালি ব্যক্তি এসে রুমে ঢোকেন লালতনের কথা বলেন। এ সময় পাশে থাকা লালতন নিজের পরিচয় দিলে তাঁকে বাইরে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ আছেন।