কালা মানিককে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন কবির হোসেন। মানিককে কিনলেই ৫০ হাজার টাকার খাসি পাওয়া যাবে। বিশাল আকৃতির কালা মানিক ষাঁড়টির ওজন আনুমানিক এক হাজার কেজি। আসন্ন কোরবানির হাটে ষাঁড়টি ১০ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন তিনি।
ইতিমধ্যে গরুটি যে কিনবে তাঁকে পুরস্কার হিসেবে ৫০ হাজার টাকার খাসি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ষাঁড়টির মালিক কবির হোসেন। ষাঁড় কিনে খাসি জেতার সুযোগ শুনে অনেকেই দর দাম করছেন ষাঁড়টির।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ঢুষরাইল গ্রামের মো. কবির হোসেন। তিনি পেশায় কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি ভাগ্যের চাঁকা ঘোড়াতে শুরু করে গরু পালন। পরে একটি গরু কিনে শুরু করেন লালন পালন। দুই বছর আগে ২ লাখ টাকা দিয়ে ব্রাহমা জাতের ষাঁড়ের বাছুর কিনেছেন তিনি।
মালিক কবির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ষাড়টির দেখাশুনা আমার স্ত্রী চম্পা বেগম করে। গরুটি এ পর্যন্ত দেশীয় খাবার খাইয়ে আসছি। প্রতিদিন তাঁর পেছনে ৭ কেজি ভুসি, ২ কেজি ছোলা, সয়াবিনের খৈল ১ কেজি, রায়ের খৈল ১ কেজি, ২ কেজি চালের ভাত, আলু, বেগুনসহ বিভিন্ন ধরনের ফল, কাঁচা ঘাস বাবদ ৯০০ টাকা খরচ হয়।’
কবির হোসেন আরও বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে নিজ বাড়ির গোয়ালে ঘরে রেখে পালছি এ ষাঁড়টি। এ সময়ে গরুটি বাড়ির বাইরে খুব একটা বের করা হয়নি। গরুটি পালতে চিকিৎসা এবং খাবারসহ এ পর্যন্ত প্রায় চার লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। তবে গরু পালন করতে কখনো মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে স্থানীয় খাবার খৈল, ভুসি ও কাঁচা ঘাস দিয়ে লালন পালন করে আসছি।’
কবির হোসেন আরও বলেন, ‘গরুটি এলাকায় বিক্রি করতে না পারলে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করার আশা রয়েছে। বাড়ির ওপরও অনেক ব্যবসায়ী বা যা খরিদ্দাররাও কিনতে আসছেন। দাম ঠিকমতো পেলে বিক্রি করে দেব।’
কবির হোসেনের স্ত্রী চম্পা বেগম জানান, ‘দেশি জাতের গাভি থেকে এ বাছুরটি কিনেছি। সেই বাছুর লালন পালন করে নাম রাখা হয়েছে কালো মানিক। সবাই দোয়া করবেন যাতে গরুটির সঠিক দামটা পাই। এ গরুটি বিক্রি করতে পারলে আমাদের সব স্বপ্ন পূরণ হবে।’