বরগুনার পাথরঘাটায় শব্দদূষণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পৌরবাসী। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাইকিংয়ের শব্দদূষণে পৌর এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডাক্তারের মাইকিং চলে সারা দিন। এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়মনীতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাথরঘাটা পৌর এলাকায় প্রায় ১২টার মতো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়ায় ও বরগুনা থেকে এসেও প্রতিদিন এ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মাইকিং প্রতিযোগিতায় চলে। সুখবরের নামে কোন ক্লিনিকে ডিগ্রিধারী ভালো ডাক্তার বসেন এবং কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তা নিয়ে দিনভর চলে উচ্চ শব্দের মাইকিং। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান, অনুমতি সাপেক্ষে পৌর শহরে নির্দিষ্ট সময়ে স্বল্প শব্দে প্রচারণা চালালে শব্দদূষণের হাত থেকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। তাহলে স্কুল চলাকালীন শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে না।
পাথরঘাটা তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমির প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার আজাদ বলেন, মাইকিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এগুলো বন্ধ না করলে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে।
পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন বলেন, অযাচিত মাইকিং পৌরবাসী বিরক্ত হয়ে গেছে। সকাল থেকে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে বিশেষ পদ্ধতিতে মাইক বেঁধে মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে রমরমা প্রচার করছে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা সাইফুল হাসান বলেন, ইতিপূর্বে আমরা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মালিক সমিতির নেতাদের ডেকে মাইকিংয়ের বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। অনেকেই নির্দেশনা মানছেন না।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, আমি শহরে উচ্চ শব্দে মাইকিংয়ের বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত এগুলো বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।