ফুয়াদ হাসান রঞ্জু, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় যমুনার পানি শুকিয়ে জেগে উঠেছে অসংখ্য বালুচর। আর এসব বালুচরে বাদামের চাষ করেছেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যে বাদামগাছের সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে পুরো বালুচর। গত বছর বাদামের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর আরও অধিক জমিতে বাদামের চাষ করেছেন চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী, অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়নের চরতারাই, চরভরুয়া, বলরামপুর, কুঠিবয়ড়া, রায়ের বাসালিয়া, রামাই, বাসিদকল, রুলিপাড়া, গোবিন্দপুর, রামপুর, ডিগ্রিরচর ও কোনাবাড়ী চরাঞ্চলে বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে।
বাদামচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অল্প দিনে বাদাম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে প্রতিবছর বন্যা-পরবর্তী সময়ে জেগে ওঠা চরে তাঁরা বাদাম চাষ করেন। খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ হয়। বাদাম খেত থেকে কচি পাতা কেটে তাঁদের গবাদিপশুকে খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। বীজ রোপণের দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা যায়।
গাবসারা চরাঞ্চলের বাদামচাষি গফুর মিয়া বলেন, ‘গত বছর আমি ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছিলাম। দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর প্রায় ১২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরেও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছর যমুনার চরাঞ্চলে ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চরাঞ্চলের চাষিদের মধ্যে বিনা মূল্যে সার ও বাদামের বীজ বিতরণ করেছি। বাদামের ফলন ভালো করার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’