হোম > ছাপা সংস্করণ

টিকা নিতে এসে বেকায়দায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

ঢাকার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালিত নিয়মিত টিকাকেন্দ্রে প্রথম ডোজের টিকার জন্য এসেছিলেন আশুলিয়ার দোসাইদ গ্রামের আব্দুর রহমান (৫০)। টিকাকেন্দ্রের সামনে মানুষের ভিড়ের মধ্যে প্রায় সাত ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্বজনেরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্টের ভবনে পরিচালিত টিকাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

শুধু আব্দুর রহমানই নন, গতকাল বুধবার প্রথম ডোজের টিকা নিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন শতাধিক নারী-পুরুষ। হুড়োহুড়ি ও পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। অসুস্থ ও আহত অনেকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

আব্দুর রহমানের ফুফাতো ভাই আব্দুস সালাম বলেন, টিকা নিতে মানুষের ভিড় এড়ানোর জন্য তিনি ও তাঁর ভাই রহমান মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে টিকাকেন্দ্রের সামনে পৌঁছান। এর আগে থেকেই সেখানে কয়েক হাজার লোক টিকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সাত ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর ভাই বুকে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজের টিকা পাবেন না এমন সংবাদ শুনে টিকাকেন্দ্রে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। গত তিন দিন অন্তত ৫০ হাজার করে লোক টিকার জন্য কেন্দ্রে আসছেন। তাঁদের অনেকেই প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকেই টিকাকেন্দ্রের সামনে লোকজন জড়ো হতে থাকেন।

গতকাল বুধবার সকাল আটটার মধ্যে টিকাকেন্দ্র চত্বর ও কেন্দ্রের সামনের সড়ক (থানা রোড) জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দীর্ঘ সময় ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা নিতে আসা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন, অনেকে অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। হুড়োহুড়ি করে আগে যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে বা আঘাত পেয়ে আহত হন অনেকে। ২৬ ফেব্রুয়ারির পরেও প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া অব্যাহত থাকার ঘোষণা দিলে দুপুর ১২টার দিকে ভিড় কমতে শুরু করে।

গতকাল বুধবার টিকা নিতে আসা লোকজনের মধ্যে শতাধিক নারী-পুরুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে তৃপ্তি (১৯), সুমাইয়া (২৩), সূর্য বানু (৩০), লাবণী (২৪), কল্পনা সূত্রধর (৫১), জবেদা (৩৮), সেলিনা (৩৪), মালেকা (৩৫), লতিফা (৭০) এবং অজ্ঞাতনামা এক নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যদের বাড়িতে কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।

ফরিদ (৩৮) নামের আহত একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তিনি ডান পায়ের পাতায় আঘাত পেয়েছেন। পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত মাজেদ, শাহীন শিমুকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আমিনবাজার ২০ শয্যার হাসপাতাল ও আশুলিয়ার কোরিয়া-মৈত্রী হাসপাতালে নিয়মিত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া ২৬ ফেব্রুয়ারি ১২টি ইউনিয়নে একযোগে টিকা দেওয়া হবে। এরপরও গত তিন দিন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্টের ভবনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালিত নিয়মিত টিকাকেন্দ্রে লোকজন এসে ভিড় করছেন।

সায়েমুল হুদা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালিত নিয়মিত টিকাকেন্দ্রে প্রতিদিন হাজারো লোক আসেন প্রথম ডোজের টিকার জন্য। অথচ এই কেন্দ্রে প্রতিদিন ৯০০ জনকে টিকা দেওয়ার কথা। গত মঙ্গলবার ও বুধবার ২৮ হাজার লোককে এই কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়। এই বিপুলসংখ্যক লোক এক সঙ্গে জড়ো হওয়ায় ভিড়ের মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিরামহীনভাবে কাজ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাউকে আঘাত করার কোনো সুযোগ নেই। বরং ভিড় সামলাতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন