নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন চাষিরা। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও বাজার মূল্য বেশি থাকায় লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।
জানা গেছে, পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত ১০ বছর আগে উদ্ভাবিত হলেও এত দিন চাষে তেমন আগ্রহ ছিল না চাষিদের। দেশে পেঁয়াজের সংকট বাড়ায় কদর বাড়ে এ জাতের।
ডিমলা উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় ৭৫ বিঘা জমিতে নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে।
উপজেলার সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক মো. নুর রহমান বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনার আওতায় সার, বীজ, প্রশিক্ষণ, অর্থ সহায়তা পেয়ে এক বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছি। এক বিঘা জমিতে ফলন পাওয়া যাবে ৪০ থেকে ৫০ মণ। সঠিক বাজারমূল্য পেলে খরচ বাদে আয় হবে ৫০ হাজার টাকার মতো।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার আলী জানান, সঠিক সময়ে কৃষি প্রণোদনা, কম পরিশ্রম ও লাভ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় উপজেলার কৃষকদের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। মাঠ পর্যায়ে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা।