মির্জাপুরের হাট ফতেপুর উচ্চবিদ্যালয় রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। গতকাল রোববার ভোরে বিদ্যালয়ের মাঠে ১০ থেকে ১২ মিটার এলাকাজুড়ে এ ধস দেখা দেয়। এতে বিদ্যালয়টির মাঠ ও ভবন বংশাই নদী ভাঙনের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ধসের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যেও আতঙ্কে বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফতেপুর ইউনিয়নে বংশাই নদীর তীরে ১৯৭১ সালে হাট ফতেপুর উচ্চবিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর বিদ্যালয়টি থেকে কয়েক দফা ভাঙনের মধ্যে পড়ে। এতে বিদ্যালয়ের মূল অংশ নদীগর্ভে চলে যায়। ১৯৯৩ সালে বর্তমান জায়গায় বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়।
সেখানেও নদীভাঙনের মুখে পড়লে স্থানীয় সাংসদ একাব্বর হোসেনের সুপারিশে ২০১৩-১৪ টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিদ্যালয় রক্ষায় ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে। এতে বিদ্যালয়টি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায়।
হাট ফতেপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ইয়াছিন আলী জানান, তিনি ভোরে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান। এগিয়ে গিয়ে দেখেন রক্ষা বাঁধের ধসে মাঠের একটি অংশে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পরে তিনি প্রধান শিক্ষককে ফোন করে বিস্তারিত জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, ‘নৈশপ্রহরী জানানোর পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে ব্লক ধসের বিষয়টি দেখি। পরে সকালে বিষয়টি টাঙ্গাইল পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাই।’
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান বলেন, ওই বিদ্যালয় আগেও নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। এবার ভেঙে গেলে স্থানান্তর করার আর জায়গা থাকবে না।
মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বিদ্যালয়টি বংশাই নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে ছিল। ব্লক দিয়ে বাঁধের পর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেলেও ধসের খবরে আমি উদ্বিগ্ন। যেকোনো সময় ভবনসহ মাঠ ভাঙনের শিকার হয়ে নদী গর্ভে হতে পারে।’
পাউবো টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। যেহেতু আমাদের প্রকল্প এলাকা, সেহেতু খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।