Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

চাল কিনতে দীর্ঘ সারি পাচ্ছেন না অনেকে

ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

চাল কিনতে দীর্ঘ সারি পাচ্ছেন না অনেকে

বাজারে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা কিনতে ওএমএসের কেন্দ্রে ছুটছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। পৌরসভার তিনটি স্থানে চলছে এ কার্যক্রম। স্বল্পমূল্যে চাল কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি। তবে চাহিদা বেশি থাকায় অনেককে ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি ডিলারদের।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পৌরসভার তিনটি কেন্দ্রে দেখা যায়, ওএমএসের কেন্দ্রগুলোতে কর্মহীন, স্বল্প আয়ের মানুষের উপচে পড়া ভিড়। অনেকে দীর্ঘ সময় ধরে সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন।

পৌরসভার বাসস্টেশন এলাকার ওএমএস ডিলার এনামুল হক ইমরান জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জন কিনছেন এই পণ্য। বর্তমানে চাল ও আটার মান খুব ভালো। বাজারে চাল ও আটার দাম বাড়তি। তাই তাঁরা ভিড় করছেন ওএমএসের কেন্দ্রে। বিক্রি শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অনেককে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। চাপ সামাল দেওয়ার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি।

পৌর এলাকার বাসিন্দা হালিমা বেগম বলেন, ‘বাজারে নিম্নমানের চাল ও আটা ৫০ ও ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তাই তিন দিন ধরে ওএমএসের চাল, আটা কিনতে এসেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিনতে পারিনি। হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।’

জয়নাল খান বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম প্রায়ই বাড়ছে। এতে জিনিসপত্রের ক্রয়ক্ষমতা স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ ছুটছেন খাদ্য অধিদপ্তরের আওতায় ন্যায্যমূল্যের খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল-আটা কিনতে। তাই ওএমএসের দোকানে ক্রেতারা দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে চাল ও আটা কিনছেন। পৌর এলাকায় তিনটি ডিলারের দোকানে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।’

ওএমএসের কেন্দ্রে চাল-আটা কিনতে আসা সুমাইয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। কয়েক দিন ধরে কাজ নেই। তাই পাশের বাড়ির ভাবির কাছ থেকে টাকা ধার করে এখানে এসেছি।’

রহিম মাঝি বলেন, ‘বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। এখানে একটু কম। তাই সারিতে দাঁড়িয়েছি। তবে এই ভিড়ে পাব কি না জানি না।’

ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত লকডাউনে ধার করে সংসার চালিয়েছি। সেটা এখনো শোধ করতে পারিনি। তা ছাড়া আগের মতো রোজগারও নেই। বাজার থেকে চাল-আটা কেনা দায় হয়ে পড়েছে।’

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ডামুড্যা পৌর এলাকায় ২১ জানুয়ারি থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেট, ডামুড্যা বাসস্টেশন মোড় ও ধানহাটা সেতু এলাকায় মুন্সির রাইস মিলে খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রি শুরু হয়।

ডামুড্যা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা নূরুল হক বলেন, ‘ডামুড্যা পৌরশহরে সপ্তাহে ছয় দিন তিন মেট্রিক টন করে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। ৩০ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি পাঁচ কেজি করে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি করে আটা কিনতে পারবেন ক্রেতারা। বরাদ্দ কম-বেশি করার ক্ষমতা আমাদের নেই। তা ছাড়া বরাদ্দ বাড়ালে ভালো।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ