নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
মোবাইল অ্যাপ ‘ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টে’ বিনিয়োগের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলার পাঁচ আসামির দেশত্যাগ ঠেকাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁরা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) পক্ষ থেকে গত রোববার এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই প্রতারণা নিয়ে আজকের পত্রিকায় রোববার ‘লোভে ফেলে বারবার লুট, এবার নিল ৩০০ কোটি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পরদিন সোমবার ‘প্রতারণা থেকে সাবধান’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সম্পাদকীয় ছাপা হয়।
আরএমপির মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুতই তাঁরা পুলিশের হাতে ধরা পড়বেন।
দেশে এর আগে এমটিএফই, ই-মুভি প্ল্যানসহ বেশ কয়েকটি বিদেশি অ্যাপ গ্রাহক তৈরি করে অর্থ বিনিয়োগ করায়। কয়েক মাস লোভনীয় মুনাফা দেওয়ার পর অ্যাপগুলো বন্ধ হয়ে যায়। লগ্নি করা অর্থ না পেয়ে পথে বসেন হাজার হাজার মানুষ। এবার একই প্রতারণা করে ‘ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট’। এটি বাংলাদেশি প্রতারকেরাই পরিচালনা করতেন বলে ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন।
অ্যাপটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে মোস্তাক হোসেন নামে প্রতারিত এক ব্যক্তি রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ১৭ জানুয়ারি একটি মামলা করেন। এতে আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তবে এই পাঁচজনের ওপরেও আরও কয়েকজন এই অ্যাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
মামলায় যে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টের রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান মো. ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগ (৩৮), বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ফাতেমা তুজ জহুরা ওরফে মিলি (৩২), কান্ট্রি লিডার মোতালেব হোসেন ভূঁইয়া (৩৫), কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারুক হোসাইন সুজন (৩৯) এবং রাজশাহী জেলা এজেন্ট মিঠুন মণ্ডল (৩৬)। এঁদের মধ্যে ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগ ও ফাতেমা তুজ জহুরা স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের বাড়ি রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া এলাকায়। কান্ট্রি লিডার মোতালেব লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ, কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারুক মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল এবং রাজশাহী জেলা এজেন্ট মিঠুন নগরীর বোয়ালিয়াপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। ঢাকায় থাকা কয়েকজনের নির্দেশনা মোতাবেক তাঁরা কাজ করতেন।