দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বন বিট কার্যালয়ের সামনে খোলা জায়গায় নষ্ট হচ্ছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা মূল্যের শাল ও সেগুনগাছ।
এসব গাছ উপজেলার সিংড়া শালবন জাতীয় উদ্যান ও বীরগঞ্জ শালবন জাতীয় উদ্যানের। পরিণত বয়সে মরে যাওয়া এবং ঝড়ে ভেঙে পড়া এসব গাছ বিক্রির জন্য বন বিট কার্যালয়ের সামনে আনা হয়েছে। বন কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থ ও জনবলের অভাবে বনের ভেতর থেকে অনেক গাছ আনা সম্ভব হয়নি। যেসব গাছ আনা হয়েছে দরপত্রের মাধ্যমে শিগগিরই বিক্রি করা হবে।
বীরগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে প্রায় ৫২৫ হেক্টর জমিতে রয়েছে সিংড়া শালবন জাতীয় উদ্যান ও বীরগঞ্জ শালবন জাতীয় উদ্যান। এই জাতীয় উদ্যান দুটির মূল আকর্ষণ হলো শাল ও সেগুনগাছ। উপজেলার বন বিট অফিসের সামনে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা দামের শাল ও সেগুনগাছ। প্রতিনিয়ত এসব গাছ কেটে নষ্ট করছে উইপোকা। এ ছাড়া গাছগুলো রোদ-বৃষ্টিতে পচে নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া উদ্যানের ভেতরে এখনো অনেক গাছ পড়ে আছে। অর্থ ও জনবলের কারণে এসব গাছ আনা যাচ্ছে না।
সিংড়া শালবন জাতীয় উদ্যানের ঠাকুরগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা হরিপদ রায় জানান, কালবৈশাখী এবং বর্ষাকালে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে শালবনের ভেতরে শত শত গাছ ভেঙে আছে। পাশাপাশি পরিণত বয়সে মরে যাওয়া প্রায় ১ হাজার ৫০০টি গাছ উদ্যানের ভেতরে পড়ে রয়েছে। এসব গাছের দাম প্রায় ১০ লাখ টাকা। অর্থ ও জনবলের অভাবে বনের ভেতর থেকে এসব গাছ আনা সম্ভব হয়নি। আর অফিসের পাশেও প্রায় ৪০ লাখ টাকার শাল ও সেগুনগাছ রাখা হয়েছে।
বীরগঞ্জ শালবন জাতীয় উদ্যানের বিট কর্মকর্তা গদাধর রায় জানান, ইতিমধ্যে অনুমতি নিয়ে দরপত্র প্রকাশের মাধ্যমে অধিকাংশ শাল কাঠ বিক্রি করা হয়েছে। কিছু শাল কাঠ শিগগিরই বিক্রি করা হবে। সে জন্য কিছু শালগাছ এনে রাখা হয়েছে। অনুমতি পেলে এগুলো দরপত্র প্রকাশের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হবে।