পটুয়াখালীর বাউফলে মারধর করে গাঁজা দিয়ে এক কিশোরকে ফাঁসানোর অভিযোগে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী দ্বিতীয় আমলি আদালতে ওই কিশোরের বাবা আবদুল জলিল ওরফে খোকন সাজ্জাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন বরিশাল বিভাগীয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিদর্শক ইশতিয়াক হোসেন, সহকারী উপপরিচালক মো. ফারুক হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক দিপংকর মণ্ডল এবং সিপাই ইমাম হোসেন ওরফে শামীম, আবদুল হামিদ, মো. সবুর, খন্দকার জাফর আহম্মেদ ও মো. হেলাল উদ্দিন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ভোরে ওই কিশোরতার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঘুমাচ্ছিল। ওই দিন সকালে ১২-১৪ জনের একটি দল ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে ওই কিশোর ও তার ভাইকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর করেন। ওই সময় আসবাব ভাঙচুর করে এবং আলমারির মধ্যে থাকা ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যান। বড় ভাইকে ছেড়ে দিলেও ওই কিশোরকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যান।
পরে থানায় যোগাযোগ করে জানা যায়, বরিশাল বিভাগীয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিদর্শক ইশতিয়াক হোসেন বাদী হয়ে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। ওই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ওই কিশোরের খাটের নিচ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা ও গাঁজা বিক্রির ৭২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সাক্ষী করা হয়েছে মো. সুমন (৩০) ও শ্যামল মিস্ত্রি (৩৫) নামে দুই ব্যক্তিকে।
মামলার ১ নম্বর সাক্ষী সুমন বলেন, ‘আমার সামনেই কিশোর ও ওর ভাইকে মারধর করা হয়েছে। পরে একটি কাগজে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়। তবে ওই ঘর থেকে কোনো গাঁজা উদ্ধার করা হয়নি। আর টাকা উদ্ধার করা হয়েছে আলমারি থেকে।’