নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ছাগলছেড়া গ্রামে মো. মারুফ মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে ধারালো কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার মারুফ মোল্লার স্ত্রী সীমা বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৯ বছর আগে মারুফ মোল্লার (৩৩) সঙ্গে সীমা বেগমের (২৫) বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে সাড়ে ৩ বছর বয়সের একটি মেয়ে রয়েছে। গত রোববার রাতে ঘুমের মধ্যে স্বামীকে কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন সীমা বেগম। পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এসে গুরুতর আহত অবস্থায় মারুফ মোল্লাকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে মারুফ ফরিদপুর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও জানা গেছে, সোমবার ভোরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমা বেগমকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে কুপিয়ে জখম করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
ফরিদপুর ২৫০ শয্যার হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মারুফ মোল্লার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তাঁর অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, ‘এ ঘটনায় সীমা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। গতকাল সীমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’