Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

১০ কিমি রাস্তায় চরম দুর্ভোগ

মিজানুর রহমান, কাউনিয়া

১০ কিমি রাস্তায় চরম দুর্ভোগ

কাউনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ হারাগাছ-মীরবাগ সড়কের ১০ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হচ্ছে না। বেশির ভাগ অংশের ইট, পাথর ও বিটুমিন উঠে গেছে। বড় বড় গর্তের কারণে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের ঠাকুরদাশ থেকে মীরবাগ বাজার পর্যন্ত এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার বিভিন্ন স্থান ভেঙে দেবে গেছে। আবার অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুম না আসতেই বৃষ্টিতে জমছে পানি। খানাখন্দে ভরা সড়কে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে হালকা ও ভারী যানবাহন। এতে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৫ সালে এই রাস্তা সংস্কার করা হয়। এর পর আর এতে হাত দেওয়া হয়নি। ঠাকুরদাশ গ্রামের মহির মিয়া ও আকবর আলী জানান, রাস্তাটি দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন।

খানসামা জামতলা গ্রামের বাসিন্দা লিটু মিয়া বলেন, প্রায় সাত বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রাস্তাটি মেরামতের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

খানসামা হাটের ব্যবসায়ী আকবর হোসেন জানান, রাস্তার এমন পরিস্থিতিতে শহর এবং গ্রামগঞ্জ থেকে মালামাল আনা-নেওয়ায় বেশ ক্ষতি হচ্ছে। যানবাহন না চলায় বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়।

সড়কটিতে ভ্যান চালান সোনাতন গ্রামের শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরে মেরামত না করায় বিভিন্ন স্থানে পিচ ও ইট-পাথর উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় দুর্ভোগ এখন নিত্যসঙ্গী। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে খুবই কষ্ট হয়।

উত্তর ঠাকুরদাশ গ্রামের কৃষক হোসেন আলী জানান, তাঁদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য খানসামা, মীরবাগ ও লালবাগ হাটে নিতে হয়। ভ্যানচালকেরা গেলেও অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের জন্য পরিষদের মিটিংয়ে বেশ কয়েকবার তুলে ধরেছি। শুনেছি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় রাস্তাটি সংস্কার ও প্রস্থ বাড়ানো হবে। কিন্তু শুধু আশ্বাস মেলে, সংস্কার আর হয় না। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পথচারী ও যানবাহন চালকদের ‍দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাময়িকভাবে সংস্কার করলেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কম হতো।’

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে সড়কটি সংস্কার ও প্রস্থ বাড়ানোর প্রকল্প প্রস্তাব প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে এবং বরাদ্দ পেলে সড়কটি সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। তবে কবে নাগাদ অনুমোদন পাওয়া যাবে, তা বলা সম্ভব হচ্ছে না।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ