চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম শুধু বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র নয়, অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি শহর। কিন্তু মানবসৃষ্ট কারণে এ শহরের রূপলাবণ্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। শহরে সড়কগুলোতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। যার প্রধান কারণ সড়কগুলোতে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, অবৈধ দোকান ও ভাসমান ভ্যান গাড়ি। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ শহরটি অচিরেই কার্যকারিতা হারাবে। যার বিরূপ প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর। তাই সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধ পার্কিং এবং দোকানপাট উচ্ছেদে সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বুধবার সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধ পার্কিং, দোকানপাট, ভাসমান ভ্যানগাড়ি উচ্ছেদের লক্ষ্যে চসিক, সিডিএ, জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিএমপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সমন্বয় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন। সভায় মেয়র সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে রাস্তার যানজট নিরসন ও ফুটপাতে পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য রাস্তা ও ফুটপাতে যত্রতত্র পার্কিং, অবৈধ দোকান, ভাসমান ভ্যান উচ্ছেদে একযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। পাশাপাশি ফ্লাই ওভারের নিচে, রাস্তার পাশে সেসব স্থানে পার্কিং উপযোগী পরিবেশ রয়েছে সেসব স্থানে পার্কিংয়ের আওতায় আনার জন্য প্রস্তাব দেন। এ সময় নগরীর রাস্তাগুলোকে যানজট মুক্ত রাখা, ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা সর্বোপরি নিরাপদ বসবাসযোগ্য শহর গড়ে তোলার জন্য উপস্থিত সংস্থাগুলো একযোগে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য ঐকমত্য পোষণ করেন।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নগরীতে মাল্টি স্টোরিড পার্কিং ব্যবস্থার সম্ভাব্যতা যাচাই এবং প্রয়োজনে হলিডে মার্কেট চালুর করার প্রক্রিয়া চলছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে রাস্তা ও ফুটপাতে কোন ধরনের অবৈধ দোকান, ভ্যান বসলে তা তাৎক্ষণিক উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদ পরবর্তী নিয়মিত তদারক করার সব সংস্থা সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা নেলী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, সিএমপি সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) নোবেল চাকমা, মোহাম্মদ হুমায়ুন রশীদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মতিন, সিডিএ প্রতিনিধি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।