নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এমএলএম কোম্পানি ডেসটিনিতে হাতেখড়ি নেন প্রতারক আবুল হোসেন পুলক ও মাহাদী হাসান মল্লিক। পরে অনলাইনে এমএলএম সাইটের মাধ্যমে জালিয়াতি করে ৫ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এই চক্র। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে কোনো কমতি রাখেনি চক্রটি। দামি গাড়ি, দামি পোশাকে চলাফেরা করত অভিজাত সব হোটেলে। এ চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচজনকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার মালিবাগ সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
চক্রের মূল হোতা আবুল হোসেন পুলক, মাহাদী হাসান মল্লিকসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সহযোগী মিজানুর রহমান ওরফে ব্রাভো মিজান, মহি উদ্দিন জামিল, সাইফুল ইসলাম আকন্দ, কভেজ আলী সরকার ও শাহানুর আলম শাহীন। তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৯টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম কার্ড, একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেকবই, একাধিক ব্যাংকের এটিএম কার্ড, বিভিন্ন অবৈধ এমএলএম কোম্পানির বিজনেস প্ল্যানের কাগজপত্র এবং ৬২ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
ইমাম হোসেন বলেন, চক্রটি প্রথম ধাপে একটি অনলাইন গ্রুপ খুলে ব্যবসার বিষয়ে প্রচার শুরু করে। চক্রটির সদস্যরা সাধারণ মানুষদের বলতেন, সাভার মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে ১৫ দিন থেকে ১ মাসের মধ্যে টাকা দ্বিগুণ হবে। এভাবে প্রচার চালিয়ে সদস্য সংগ্রহ করেন তাঁরা।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, এই চক্র অনলাইনভিত্তিক চারটি এমএলএম কোম্পানির মাধ্যমে ৫-৬ লাখ সদস্য সংগ্রহ করে। ওই সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় তারা ৪০-৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, চক্রটির দুজন ডেসটিনি থেকে এমএলএম ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অনলাইনে প্রতারণা করে আসছেন। যদিও চক্রটির সদস্যরা এটাকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বলেন। এই চক্রের প্রতারণার ফাঁদে পা দেওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই নারী। তাঁরা ঘরে বসে কিছু অর্থ আয় করার লোভে এ ফাঁদে পা দিয়েছেন।