ঘুষ লেনদেন, দালালদের প্রাধান্য, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাজস্ব ফাঁকি, রেজিস্ট্রেশনের নামে অবৈধ বিভিন্ন ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর সাব-রেজিস্ট্রার স্বপন দের বিরুদ্ধে। হয়রানির শিকার সেবাগ্রহীতার এমন অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম গতকাল সোমবার উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় পরিদর্শন করেছে। এ সময় তাঁরা ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি নেন।
উপজেলার যশলং নিবাসী নূরে আলম মাদবর ঢাকার দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর নামজারিকৃত, খাজনা-খারিজ পরিশোধিত জমি সাব-রেজিস্ট্রার অপর ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। তাঁকে সহায়তা করেন সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক মো. আরিফ।
কয়েকজন সেবাগ্রহীতার অভিযোগ, সাব-কবলা দলিলে প্রতি লাখ টাকায় সব মিলিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ খরচ হলেও দলিল লেখকেরা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের খরচের কথা বলে ১১০ থেকে ১১ শতাংশ টাকা আদায় করছেন।
কয়েকজন দলিল লেখক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাংবাদিকদের কাছে সব কথা বলা যাবে না। পরে সাব-রেজিস্ট্রার তাঁর পরিচিত লোক ছাড়া অন্যদের নানান সমস্যার কথা বলে দলিল ফেরত দেবেন।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে একটা অনিয়ম চলছে, তাও আবার খোদ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ভোক্তা অধিকার কার্যকর করা হোক।’
সেবাগ্রহীতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকালে দুদক টিম আসে মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি নেয় দুদক টিম।
সাব-রেজিস্ট্রার স্বপন দে বলেন, ‘দুদক তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত করছে, তারাই বলবে আমি অভিযুক্ত কিনা। আমার নিজস্ব কোনো বক্তব্য নাই।’
দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’