শরীয়তপুরের জাজিরায় নারী নির্যাতন মামলার আসামি পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছে বাদীপক্ষের লোকজন। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার সময় জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জাজিরার বোয়ালিয়া গ্রামের জুলহাস খানের মেয়ে সাবিনা আক্তারের (২৭) সঙ্গে বিয়ে হয় একই গ্রামের ইউনুছ মুন্সীর ছেলে ফারুক মুন্সীর (৪০)। তাঁদের সংসারে দুটি ছেলেমেয়ে রয়েছে। স্বামী ফারুক যৌতুকের দাবিতে সাবিনাকে প্রায়ই মারধর করতেন। এ ঘটনায় সাবিনা আক্তারের বাবা জুলহাস খান বাদী হয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি জাজিরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
আসামিদের হাতে মারধরের স্বীকার সাবিনা ও তাঁর ভাই রাজ্জাক জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে বুধবার কিছু লোকজন নিয়ে হাসপাতালে আসেন ফারুক মুন্সী। এসে ছেলেমেয়েকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
মামলার বাদী জুলহাস খান বিষয়টি জাজিরা থানাকে জানান। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হান্নান আসামিদের হাসপাতালে আটকে রাখতে বলেন। কিন্তু তিনি হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই আসামিরা বাদী জুলহাস খান ও তাঁর ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পালিয়ে যান। এ সময় পুলিশ তাঁদের পিছু ধাওয়া করে। কিন্তু আসামিদের ধরতে অক্ষম হয় পুলিশ।
মামলার বাদী জুলহাস খান বলেন, ‘আসামিদের আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁরা আমাদের চোর সম্বোধন করে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে পালিয়ে যান।’
এ বিষয়ে মামলার প্রধান আসামি ফারুক মুন্সী বলেন, ‘এর আগে আমাকেও মারধর করা হয়েছে।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।