হবিগঞ্জের বানিয়াচং এবং লাখাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে ৩০ নেতাকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে বানিয়াচং উপজেলায় ১৬ ও লাখাই উপজেলার ১৪ জন রয়েছেন। এ নিয়ে দুই দফায় জেলার ৪ উপজেলায় ৫৫ জনকে বহিষ্কার করা হলো।
গত মঙ্গলবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবু জাহির এমপি ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদপত্রে পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সংযোগী সংগঠনের নেতা। আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করা এবং সংগঠন বিরোধী কার্যক্রমের কারণে তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বানিয়াচং উপজেলায় বহিষ্কৃতরা হলেন-দৌলতপুর ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আজিজুর রহমান, কাগাপাশার মো. এরশাদ আলী, বড়ইউড়ির মো. এয়াওর মিয়া, খাগাউড়ার আব্দুল লতিফ দুলাল, সুবিদপুর ইউপির মো. কাউছার চৌধুরী, মক্রমপপুর ইউপির ইয়াহিয়া চৌধুরী ও মো. তাহির মিয়া, সুজাতপুর ইউপির এনাম খান চৌধুরী, মো. সাদিকুর রহমান, মাজহার কামরান, আহমেদ ফরিদ, রবিন চৌধুরী মলু ও মো. হেলাল মিয়া, মন্দরী ইউপির আব্দুল হেকিম ফুল মিয়া, মুরাদপুর ইউপির রফিকুল ইসলাম পাশা এবং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদীন তালুকদার ও মো. শাহজাহান মিয়া।
লাখাই উপজেলায় বহিষ্কৃতরা হলেন-লাখাই সদর ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী শরীফ উদ্দিন তালুকদার, মোড়াকরি ইউপির আবুল কাশেম মোল্লা ফয়সল, মাহমুদুল হাসান ও মো. জাহিদুল ইসলাম, মুড়িয়াউক ইউপির মাসুক মিয়া তালুকদার, হাজী মুকলেছুর রহমান ও মো. নোমান মিয়া, বামৈ ইউপির এনামুল হক মামুন, মোর্শেদ কামাল ও খসরু নোমান, করাব ইউপির আব্দুল হাই কামাল এবং বুল্লা ইউপির মো. এয়ার হোসেন তালুকদার, জাহারুল ইসলাম তাউস ও শেখ মুর্শেদ কামাল।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২৫ নেতা-কর্মীকে একই অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।