নওগাঁর ধামইরহাটে হাটবাজারগুলোতে জমে উঠেছে মাছ ধরার সরঞ্জাম বেচাকেনা। কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন নালা ও খালবিলে পানি জমেছে। তাই বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রি বেড়ে গেছে।
গত রোববার সকালে ধামইরহাট হাটে গিয়ে দেখা গেছে, স্বস্তির বৃষ্টিতে মাছ শিকারিরা হাটে এসে মাছ ধরার সরঞ্জাম কিনছেন। এর মধ্যে বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার শৌখিন মাছ শিকারিরা ছাড়াও আশপাশের উপজেলা থেকে অনেকে আসছেন এসব সরঞ্জাম কিনতে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঁশের তৈরি মাছ ধরার খলশান আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৫০০, পলই ২০০ থেকে ৪০০, আইল কাটা সুটি (ধরংগা) ২৫০ থেকে ৩০০, ট্যাংরা মাছ ধরার জন্য বিত্বি (চারু) ২৫০ থেকে ৩০০, টুসি ৩০০, বেতের তৈরি পাল্লা ৫০০ থেকে ৬০০, চাল মাপা পাতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মহাদেবপুর এলাকার চেরাগপুর গ্রামের নির্মল কুমার নামের এক বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। আলাপকালে তিনি বলেন, বাপ-দাদার পুরোনো ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই তিনি বাঁশ ও বেতের কাজ শিখেছেন। বাবার কাছ থেকে শেখা এই শিল্প দিয়ে তিনি পরিবারের চাহিদা পূরণ করছেন। তবে বাঁশের স্বল্পতা, অন্যদিকে শ্রমিকের সংকটসহ মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এই শিল্প টিকিয়ে রাখতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
অপর ব্যবসায়ী মোকসেদ বলেন, গ্রামের বিভিন্ন এলাকা ও হাট থেকে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের উপকরণ কেনেন তিনি। পরে উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি করেন। তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির পর খালবিলে পানি জমায় মাছ শিকারিরা সরঞ্জাম কিনতে ভিড় করছেন। এতে গত সপ্তাহ থেকে অনেকের বেচাকেনা বেড়ে গেছে।