বরগুনা প্রতিনিধি
বরিশাল বিএম কলেজের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার হুমকি এবং বরগুনা কলেজ সড়কের বাসভবন দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই ভবনেরই ভাড়াটিয়া বরগুনা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাড়ির মালিক কলেজশিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন।
গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল বিএম কলেজের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, বরগুনা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন মহলের পেছনে ঘুরেও প্রতিকার পাননি তিনি। বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও অভিযুক্তরা বাড়ি ছাড়েননি।
জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বর্তমানে তাঁকে হত্যার হুমকিসহ গত শনিবার তাঁর বাড়ির সামনের বাগান ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া বাড়ির দোতলায় বসবাসরত তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরাও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তাঁদের হুমকির বিষয়ে থানায় জিডি করেছেন বলেও জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ২০১২ সালে বরগুনার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কর্নেল আব্দুল খালেকের অনুরোধে বরগুনা প্রি ক্যাডেট স্কুলের কাছে ৫ বছর মেয়াদে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তাঁর বাড়ির তিনটি তলা ভাড়া দেন। বাড়ির দোতলায় তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা বসবাস করে থাকেন। ২০১৬ সালের পর পরিচালনা কমিটি ভেঙে যায়। এরপর মৃত্যু বরণ করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। কিন্তু এত বছরেও বারবার নোটিশ দেওয়ার পরেও তাঁরা বাড়ি ছাড়েননি। করোনার সময় ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কিছু টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য সময় চেয়ে নেন। কিন্তু দুই বছর পার হলেও তাঁরা বাড়ি ছাড়েননি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা পাওনা। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টো বাড়ি থেকে নেমে যেতে হুমকি দিচ্ছেন ভাড়াটিয়া স্কুলটির অধ্যক্ষ মেহেদি হাসান ও গভর্নিং বডির সদস্যরা।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে তাঁর পাওনা পরিশোধের পর বাসা খালি করে দিতে প্রশাসনিক সহায়তা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মেহেদি হাসান বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের বিলম্ব হয়েছে। আমি কাউকে হুমকি দিইনি। বাড়িওয়ালার বাগান ভাঙচুর করেছে ছাত্ররা—আমি ছিলাম না।’