দুয়ারে টকটক কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সামনে রেখে দেশ-বিদেশের তারকাদের সমাবেশ হচ্ছে ধীরে ধীরে। এরই মধ্যে মাঠেও নেমে পড়েছে দলগুলো। মহামারিতে প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া বিপিএলে পুরোনো প্রশ্নটা আবারও আসছে—ভালো উইকেটে খেলা হবে তো?
গতকাল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে তামিম ইকবাল অবশ্য ভালো উইকেটের প্রত্যাশাই করেছেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। বিপিএলে তামিম-মাশরাফিরা এবার ঢাকার হয়ে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বেই খেলছেন।
দুদিন আগে সিলেটে শেষ হওয়া বিসিএল ওয়ানডেতে লো স্কোরিং উইকেট দেখা গেছে। যদিও বিসিএল শুরুর আগে শোনা যাচ্ছিল সিলেটের উইকেট স্পোর্টিং হবে। প্রসঙ্গটা টেনে তামিম বললেন, ‘সিলেটের উইকেট কঠিন ছিল। বিপিএলে যারা টিভিতে খেলা দেখবে, তারা অবশ্যই রান দেখতে চায়। ১৭০-১৮০ রান হবে, সেটা আরেকটি দল তাড়া করে ফেলবে। এটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মজা।’
তামিমের মতো প্রতি বিপিএলে দর্শকদেরও একই চাওয়া—হবে চার-ছক্কার বৃষ্টি, হবে রান উৎসব। যদিও দেশের, বিশেষ করে মিরপুরের নিচু ও মন্থর উইকেটে খুব একটা রানপ্রসবা উইকেটের দেখা মেলেনি আগের আসরগুলোয়। একটু ব্যতিক্রম ২০১৯-২০ মৌসুমে হওয়া বিশেষ বঙ্গবন্ধু বিপিএল। ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি বাদ দিয়ে বিসিবি বিশেষ এক বিপিএল আয়োজন করেছিল গত মৌসুমে। এই টুর্নামেন্টে তুলনামূলক ভালো উইকেটে খেলা হওয়ায় বেশ ধারাবাহিক ভালো স্কোর দেখা গিয়েছিল। টুর্নামেন্টে সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০১৮-১৯ মৌসুমে ফ্র্যাঞ্চাইজি বিপিএলে প্রতি ইনিংসে গড়ে রান উঠেছিল ১৬০। সেখানে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ইনিংসপ্রতি গড়ে ছিল ১৬৫ রান। ম্যাচের হিসাবে গড় রান বেশি ছিল বঙ্গবন্ধু বিপিএলে। আগেরবারের তুলনায় ম্যাচপ্রতি গড়ে ১৩ রান বেশি হয়েছে সর্বশেষ বিশেষ বিপিএলে। এবারের বিপিএলে ভালো উইকেটে খেলা হবে, এমনই আশা তামিমের, ‘আশা করি উইকেট ভালো থাকবে। কিউরেটর আর মাঠকর্মীরা ভালো উইকেটই তৈরির চেষ্টা করবেন।’
বিপিএলে দলগুলোর দ্বিতীয় দিনের অনুশীলনে চমক ছিলেন স্টিভ রোডস। এবারের বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের টেকনিক্যাল পরামর্শক হয়ে এসেছেন এই ব্রিটিশ কোচ। কুমিল্লায় আছেন দেশের অন্যতম সফল কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও। দলে ‘থিংক ট্যাংক’ একটু ভারী হয়ে গেল কি না, এ প্রশ্নে সালাউদ্দিন বলছেন, ‘এ রকম হওয়ার সুযোগ খুব কম। যখন খেলা হবে তখন আমার নিজের মাথা থেকেই ভুল করব। অন্যের পরামর্শে ভুল করতে রাজি না। যদি নিজে ভুল করি, সেখান থেকে কিছু শিখতে পারব।’