বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট না-ফেরার দেশে চলে যান তিনি। নায়করাজের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষ আয়োজন রাখা হয়েছে প্রতিবারের মতোই।
নায়করাজের ছোট ছেলে খালিদ হোসেন সম্রাট বলেন, ‘আব্বার মৃত্যুবার্ষিকীতে যথারীতি ফজরের নামাজ পড়ে আমি কবরের কাছে যাই, দোয়া-দরুদ পড়ি। গুলশান আজাদ মসজিদের এতিমখানার বাচ্চাদের খাওয়াদাওয়া করানো হয়। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আব্বার নামে একটি মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। সেখানেও মিলাদ মাহফিল ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করানো হয় এ দিনে।’
শিল্পী সমিতির সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, আজ বাদ আছর নায়করাজের স্মরণে এফডিসিতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘তারকা-কথন’-এর প্রযোজক অনন্যা রুমা জানান, আজ তারকা-কথন অনুষ্ঠানে নায়করাজ রাজ্জাককে নিয়ে স্মৃতিচারণা করবেন চিত্রনায়িকা সুজাতা, সুরকার-সংগীত পরিচালক ইমন সাহা, সঙ্গে থাকবেন নায়করাজের ছেলে সম্রাট।
তাঁদের স্মৃতিতে নায়করাজ
আমার সৌভাগ্য যে নায়িকা হিসেবে আমার প্রথম সিনেমা ‘কোটি টাকার কাবিন’-এ আমি রাজ্জাক আঙ্কেলকে পেয়েছিলাম। তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন। পরবর্তী সময়ে সম্রাটকে নিয়ে যখন ‘আমি বাঁচতে চাই’ সিনেমাটি নির্মাণ করলেন তিনি, আমি নায়িকা হলাম। তখনই আসলে তাঁকে খুব কাছে থেকে দেখা, অনুভব করা। আমার আরেকটি নাম আছে ‘লক্ষ্মী’, এটা অনেকেই জানেন না। রাজ্জাক আঙ্কেল জানতেন। এ কারণেও তিনি আমাকে ভীষণ আদর করতেন। কারণ তাঁর স্ত্রীর নামও লক্ষ্মী। আমার বিশ্বাস, তিনি বেঁচে থাকলে আমার একমাত্র সন্তান জয়কেও ভীষণ আদর করতেন।
রাজ্জাক আঙ্কেলের দুই সন্তান বাপ্পা ভাই ও সম্রাট দুজনের সঙ্গে আমার কাজ হয়েছে। রাজ্জাক আঙ্কেল ও লক্ষ্মী আন্টি তাঁদের সন্তানদেরকে নিজেদের আদর্শে বড় করেছেন, এখানেই মা-বাবা হিসেবে তাঁরা সার্থক। বাপ্পা ভাই, সম্রাট—দুজনই এত ভদ্র যে তাঁদের কথা বিশেষভাবে বলতেই হয়। রাজ্জাক আঙ্কেলের নির্দেশনায় আমার সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। তবে ‘দায়ভার’ নাটকে তাঁর নির্দেশনায় অভিনয় করতে পেরেছি, এটাও অনেক বড় প্রাপ্তি। এত বড় একজন নায়ক হয়েও এত ডাউন টু আর্থ ছিলেন তিনি, ভাবাই যায় না।
রাজ্জাক আঙ্কেলের নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্পের নাটক ‘আমি যুদ্ধে যাব’তে অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আঙ্কেলকে সহশিল্পী হিসেবে অনেকেই পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর নির্দেশনায় কাজ করতে পারাটা আমার কাছে একটু বেশি রোমাঞ্চকর মনে হয়েছিল। আঙ্কেল আমাকে খুব স্নেহ করতেন। তিনি যখন পাশে এসে দাঁড়াতেন, কথা বলতেন, মনেই হতো না তিনি এত বড় নায়ক। কারণ তিনি নিজের মেয়ের মতো আদর-ভালোবাসা দিয়ে কাজটা বুঝিয়ে দিতেন আমাকে।
আমার প্রথম সিনেমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছিলেন