শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের শরণখোলায় চিকিৎসকসহ জনবলসংকটে শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজের করোনা টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গত সোমবার সকালে মাত্র তিনজন স্বাস্থ্য সহকারী ২ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে লাইনে দাঁড় করানোর ফলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. হারুন অর রশীদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে খুব বাজে পরিবেশে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। এটা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের অবহেলা ছাড়া কিছু না।
মাদ্রাসাশিক্ষক মো. রুহুল আমীন বলেন, টিকা দিতে এসে তাঁদের ছাত্র-ছাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা পরিকল্পনাহীনভাবে কর্মসূচি নিয়েছে।
টীকা কার্যক্রমে নিয়োজিত স্বাস্থ্য সহকারী মো. রাসেল হোসেন বলেন, তাঁদের জনবলসংকট রয়েছে। এক দিনে ২ হাজার ৬০০ মানুষকে টিকা দিতে গিয়ে তাঁরা হিমশিম খাচ্ছেন। এ ছাড়া ফাইজারের টিকা এসি রুমে বসে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও একাধিক এসি রুম না থাকায়ও দ্রুত টিকা দিতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। অনেক শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট দিনে টিকা নিতে আসেনি। গত শুক্রবার-শনিবার বন্ধ থাকা এবং রোববার সারা দিনে বিদ্যুৎ না থাকায় সোমবার এক দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। এ ছাড়া চিকিৎসকসহ জনবল কম থাকায় টিকাদান কার্যক্রমে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।