ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় মৎস্য দপ্তর মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২১ দিনে ৩ লাখ মিটার নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার করেছে। এ সময় ৩৩টি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মৎস্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া নৌকা ও নোঙরও জব্দ করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীতে চার ধাপে ২৮ দিনের সম্মিলিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন শুরু করে। ইতিমধ্যে এ অপারেশনের তিন ধাপ শেষ হয়েছে। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি প্রথম ধাপ, ১৪ থেকে ২১ জানুয়ারি দ্বিতীয় ও ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপে অভিযান পরিচালনা করে মৎস্য অধিদপ্তর। ১৩ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে চতুর্থ ধাপের অভিযান।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যদের সমন্বয়ে ৩৩টি অভিযান পরিচালিত হয়। এই অভিযানে মেঘনা নদী থেকে ৩ লাখ ১১ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৬৪টি নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল ও ৭৩টি ধরা, মশারি চর গোরা অবৈধ জাল উদ্ধার করা হয়। সেই জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ সময় ৬টি নৌকা, ৩০টি নোঙর ও ১ হাজার ৪০৫ কেজি জাটকা উদ্ধার করা হয়। জাটকা গরিব, অসহায় ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। নৌকা ও নোঙর উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ৮৭ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া ৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০টি মামলা ও ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযানে মেঘনার হাকিমুদ্দিন হয়ে চরজহির উদ্দিনের উত্তরাংশ, চরমোজাম্মেলসহ চরকলাতলীর পূর্বাংশ হয়ে বাতিরখাল পর্যন্ত মেঘনার মোহনায় অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, ‘এ শ্রেণির অসাধু জেলে ও আড়তদারের সহযোগিতায় জেলেরা জাটকা ধরেন। জাটকা ধরা বন্ধ করতে ৪ ধাপে ২৮ দিনের জন্য সম্মিলিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হয়।’