রাজশাহীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে খবর দেওয়া হলে নগরীর বোয়ালিয়া থানা-পুলিশ ওই কনস্টেবলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
গণপিটুনির শিকার কনস্টেবলের নাম মিজানুর রহমান (৩৫)। তিনি রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানার বায়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তবে তিনি বোয়ালিয়া থানা এলাকায় এসে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত রোববার হেতেম খাঁ সবজিপাড়া এলাকার এক ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৬ হাজার টাকা নিয়ে যান কনস্টেবল মিজানুর। সোমবার তিনি আরও ১০ হাজার টাকা নিতে যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে আটকে রাখেন। দেওয়া হয় গণপিটুনি। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু ওই কনস্টেবলকে নিজের কার্যালয়ে রেখে থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু বলেন, ‘ব্যাপারটা খুবই বাজে। আমি এ বিষয়ে ফোনে কিছু বলব না। আপনারা থানায় খোঁজ নেন, তাহলেই জানতে পারবেন।’
বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, কনস্টেবল মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁকে পুলিশ ফাঁড়িতে না পাঠিয়ে রাতেই পুলিশ লাইনসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।