হোম > ছাপা সংস্করণ

শয্যার তিন গুণ রোগী

মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী

কিডনি রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চালু করা হয় কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট। কিডনি রোগীদের জন্য এ ইউনিট বৃহত্তর নোয়াখালীর (নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর) একমাত্র প্রতিষ্ঠান।

শুধু এই তিন জেলা নয়, পাশের কুমিল্লা ও চাঁদপুরের রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিতে জনবলসংকটে সেবা দিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের। এই ইউনিটে মাত্র ২০টি শয্যা থাকলেও দিনে গড়ে ৬০ জনের বেশি রোগী কিডনি ডায়ালাইসিস করাতে আসেন।

ফলে একদিকে পর্যাপ্ত জনবল না থাকা, অন্যদিকে রোগীর তিন গুণ চাপ  হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।

জানা গেছে, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ২০টি শয্যা নিয়ে স্থাপন করা হয় কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট। এর মধ্যে নেগেটিভ বেড ১২টি, দুটি হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পজিটিভ বেড ও হেপাটাইটিস সি ভাইরাস পজিটিভ বেড ছয়টি। ডায়ালাইসিসের জন্য ২০টি ও ভর্তি রোগীদের জন্য রয়েছে ১৬টি শয্যা। গত বছরের ডিসেম্বরে আরও পাঁচটি ডায়ালাইসিস শয্যা যোগ করা হলেও সেগুলো এখনো ইনস্টলেশন করা হয়নি।

নামমাত্র মূল্যে (মাত্র ৪০০ টাকায়) ডায়ালাইসিস ফি হওয়ায় প্রতিদিন এখানে কিডনি রোগীর চাপ বাড়ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ইউনিট থেকে সেবা নিয়েছেন প্রায় ৪১ হাজার রোগী। প্রাইভেট হাসপাতালে প্রতিবার ডায়ালাইসিসে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হওয়ায় অনেকের পক্ষে প্রাইভেটে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কিডনি ইউনিটের জন্য ভর্তি রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন কাজ করছেন সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কনসালট্যান্ট, তিনজন চিকিৎসা কর্মকর্তা, ২২ জন জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স। এ ছাড়া চুক্তিভিত্তিক আউটসোর্সিংয়ে কাজ করছেন চারজন চিকিৎসা সহকারী, একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও পাঁচজন মেডিকেল টেকনিশিয়ান। এ ছাড়া কর্মচারী রয়েছেন ২৭ জন। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক পদগুলোতে লোকবল নিয়োগের পাশাপাশি উন্নত মানের সেবার জন্য আরও ১০ জন নার্সের প্রয়োজন রয়েছে ইউনিটটিতে।

সম্প্রতি মনির হোসেন নামের ভর্তি এক রোগীর স্বজন জানান, চার মাস আগে তাঁর মায়ের কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে কিডনি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে রোগীর তুলনায় চিকিৎসক ও নার্স কম। তবু হাসপাতালে কর্তব্যরত সবার আন্তরিকতা পেয়েছেন বলে তিনি জানান।

কিডনি ইউনিটের ইনচার্জ মৌটুসী দ্রং বলেন, ‘নার্সসহ একাধিক পদে আমাদের জনবলসংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হলে এ ইউনিটে ভর্তি রোগীদের উন্নত মানের সেবা নিশ্চিতে আমরা কাজ করতে পারব।’

কিডনি বিশেষজ্ঞ ফজলে এলাহী খান বলেন, ‘কিডনি ইউনিটে প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বেড়েই চলছে। মাত্র ২০টি শয্যা থাকায় চিকিৎসাপ্রত্যাশী অনেক রোগীকে অপেক্ষমাণ রাখা হয়। ২০টি যন্ত্রের মধ্যে কখনো দু-একটি নষ্ট হয়ে যায়। জনবলের সঙ্গে সঙ্গে এখানে শয্যা ও যন্ত্রপাতি বাড়ানো জরুরি।’

জনবলসংকটের বিষয়টি স্বীকার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘পুরো হাসপাতালটি নামে ২৫০ শয্যা হলেও এখানে যে জনবল আছে, তা দিয়ে ১৫০ শয্যা হাসপাতালও চালানো কষ্টকর।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন