সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে তুচ্ছ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
গত বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে লালাবাজারে খাজাখালু ও ভালকি গ্রামের বাসিন্দারা দুই দিকে অবস্থান নেন। তাঁদের এই অবস্থান নেওয়ায় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল আফিয়ান চৌধুরী বলেন, গত বুধবার দিনের বেলা খাজাখালু গ্রামের মসজিদের মোতাওয়ালির ছেলে লালাবাজারের পশ্চিমে ভালকি গ্রামের রাস্তার সামনে সহপাঠীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় ভালকি গ্রামের বাসিন্দা মোনায়েম খাঁন বাবুলের ছেলে গাড়ি নিয়ে দ্রুত গতিতে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। মোতওয়ালির ছেলে গাড়ির গতি কমানোর জন্য সিগন্যাল দেন। এ বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে গত বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।
তবে খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বিরা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেননি। পরে রাত একটার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লালাবাজারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং দুই পক্ষকে সালিসে বসার আহ্বান জানান। পরে দুই পক্ষই সালিসের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে লালাবাজার ত্যাগ করে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটা পর্যন্ত সালিসের তারিখ নির্ধারণ হয়নি।