Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

নিরাপদ সবজির গ্রাম ‘পাতেলডাঙি’

মো. মাহবুব-উল-আহসান উল্লাস, খোকসা (কুষ্টিয়া) 

নিরাপদ সবজির গ্রাম ‘পাতেলডাঙি’

পিচঢালা সরু রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যতই গ্রামের ভেতরে এগোনো যায় রাস্তার দুই পাশে শুধু সবজি আর সবজি। নানা জাতের সবজিতে ভরপুর গ্রাম। শুধু জমিতেই নয়, গ্রামের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায়, ঘরের চালা ও গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের সবজি।

কৃষকেরা ব্যস্ত সবজি খেতে। কেউ সবজি খেতে নিড়ানি, কেউ জমি তৈরি, কেউ আবার সেচ দিচ্ছেন। এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাতেলডাঙি গ্রামে। উপজেলায় গ্রামটি সবজির গ্রাম নামেই পরিচিত।

খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে এ গ্রামের দূরত্ব ১ কিলোমিটার। সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকেরা মাঠের পর মাঠ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যস্ত। কয়েকজন কৃষক সবজি তুলে বাজারে নিচ্ছেন।

প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন এলাকার পাইকারেরা এখান থেকে গাড়িবোঝাই করে সবজি কিনে নেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাতেলডাঙি গ্রামটি নিরাপদ সবজি গ্রাম। এ গ্রামের পরিবারগুলো সবজি চাষের ওপর নির্ভরশীল। বংশ পরম্পরায় ১৫ বছর ধরে তারা সবজি চাষ করছেন। এ বছর গ্রামটির ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।

কৃষক অতুল পরামানিক (৬৫) বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য এখন আমরা জমিতে জৈব সার, গোবর, বিষটোপ, জৈব কীটনাশক, হলুদ ট্র্যাপ, সেক্স ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার করছি। আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতাম।

এবার আড়াই বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করছেন চৈতন্য মোদক (৬৫)। ৪০ বছর যাবৎ সবজি চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘গত বছর সেচ দিতে বিঘাপ্রতি খরচ হতো ৬০০ টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। এমনিভাবে গত বছর পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ দিতে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ৬০০ টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। কিন্তু সে তুলনায় সবজির দাম বাড়েনি। এ জন্য আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।’

পাতেলডাঙি গ্রামের সুকুমার মন্ডল ও মিঠুন শেখ অন্যের জমিতে কাজ করেন। প্রতিদিন তাঁরা ৩০০ টাকার করে হাজিরা পান। তাঁরা জানান, ধান, পাট, গমে লোকসান গুনতে গুনতে কৃষক যখন দিশেহারা তখন বিকল্প উপায়ে সবজি চাষে বেছে নিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন, পাতেলডাঙি গ্রামে কৃষকেরা ১৫ বছর ধরে নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। এ বছর এই গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে। বর্তমানে ৫৫ জন কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। নিরাপদ সবজি চাষের জন্য কৃষকদের পরিবেশবান্ধব কৌশল শিখিয়ে দিতে গ্রামে একটি ‘কৃষক মাঠ স্কুল’ খোলা হয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ