Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫০ অস্ত্রধারীর হামলা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে  ৫০ অস্ত্রধারীর হামলা

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারীরা। গত বুধবার রাতে ৫০ থেকে ৬০ জন অস্ত্রধারীর এ হামলায় আহত হয়েছেন দুই আনসার সদস্যসহ পাঁচজন নিরাপত্তাকর্মী।

কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসিএল) কর্মকর্তরা জানান, ৫০-৬০ জনের একটি অস্ত্রধারী দল ডাকাতি করতে হামলা চালিয়েছিল। গুলি চালিয়ে তাদের প্রতিহত করা হয়েছে।

হামলা ও ডাকাতিচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের নাম-ঠিকানা জানানো হয়নি। হামলাকারীদের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

ডাকাতদের হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সুপারভাইজার আকরাম (৫৫), সদস্য সাইদুল ইসলাম (৩৭), সদস্য ব্রজেন মণ্ডল (৩০) এবং আনসার ব্যাটালিয়নের হাবিলদার কামাল পাশা (৩৮) ও সিপাহি জাহিদুল ইসলাম (৪০)।

আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে চিকিৎসাকেন্দ্রে এবং পরে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মিন্টু বৈরাগী ও আনসার সদস্য কামাল পাশাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত ব্রজেন মণ্ডল বলেন, ‘রাতে হঠাৎ করে ৫০-৬০ জনের একটি অস্ত্রধারী দল কাঁটাতারের বেড়া কেটে ম্যাটেরিয়াল ইয়ার্ডের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমরা বাধা দিলে নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর দল বেঁধে হামলা করে তারা। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীদের আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। চিৎকার শুনে আনসার সদস্যরা এগিয়ে এলে অস্ত্রধারীরা তাদের ওপরও হামলা করে। একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা গুলি ছুড়লে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।’

রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রুহুল আমিন সজিব বলেন, রাত ১টার দিকে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনের মাথায় গভীর ক্ষত থাকায় খুলনায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদের এখানে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

খুলনার ৩ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোল্যা আবু সাইদ জানান, ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে এসএমজি ও পিস্তলের ২৬টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, চক্রের সদস্যরা মূলত বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন মালপত্র চুরি করতে এসেছিল।

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা ও প্রশাসন) মো. অলিউল্লাহ বলেন, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে মাঝেমধ্যে চুরি হয়। কিন্তু কখনো একসঙ্গে এত বেশি দুষ্কৃতকারী আসেনি। এখানে শুধু মালপত্র চুরি বা লুট নয়, অন্য কোনো বিষয় রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

১০ বার চুরি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ভারতীয় কোম্পানি ভেল কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ করছে। ৬৬০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটে মোট ১৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকে সেখানে অন্তত ১০ বার চুরির ঘটনা ঘটেছে।

বিআইএফসিএলের কর্মকর্তারা বলছেন, কেন্দ্রটির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৩২০ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত রয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ৪০, সশস্ত্র ব্যাটালিয়ান আনসার ৫০, বিআইএফসিএলের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ১৫০ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভেলের ৮০ জন। এত নিরাপত্তাকর্মী থাকার পরও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে দফায় দফায় চুরি ও হামলার ঘটনা ঘটছে। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইএফসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম টেলিফোনে গতকাল রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন হামলা হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। তবে চুরি হয়েছে কেন্দ্রের মালপত্র নেওয়ার জন্য।’ 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ