দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর উপলক্ষে ও করোনা আক্রান্তের পর শারীরিক শক্তি স্বাভাবিক রাখতেই হেঁটে দেশ ভ্রমণ করছেন এক যুবক। তাঁর নাম সবুজ কুমার বর্মণ (৩২)। বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে।
দেশের শেষ প্রান্ত দক্ষিণের টেকনাফ শূন্যরেখা থেকে হেঁটে উত্তরের শেষ প্রান্ত তেঁতুলিয়ায় গিয়ে শেষ করবেন। শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগে অনার্সের ছাত্র সবুজ। অধ্যয়নের পাশাপাশি তিনি ঢাকার বনানীর একটি ফ্যাশন হাউসে ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করেন; পাশাপাশি সপ্তাহে দুই দিন হেঁটে দেশ ভ্রমণে বের হন।
১৭ ফেব্রুয়ারি জয়পুরহাটের পাঁচবিবির দরগাঁপাড়া অতিক্রমের সময় সবুজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। বাসায় ফিরে একেবারে দুর্বল হয়ে যাই এবং চোখে ভালো দেখতে পাই না। ভিটামিনযুক্ত খাবার ও নিয়মিত ওষুধ খেয়েও আগের মতো শরীরে শক্তি পাই না। অবশেষে ভোরবেলা হাঁটাহাঁটি শুরু করি এবং কয়েক দিনের মধ্যে শরীরও ভালো হতে থাকে। শুধু ভালো খাবার এবং ওষুধেই যে শরীর ভালো হয় না, হাঁটার মাধ্যমে তার প্রমাণ পেলাম।’
‘হাঁটাকে হ্যাঁ বলুন, থেরাপিকে না বলুন’ লেখা টি-শার্ট গায়ে জড়িয়ে হেঁটে দেশ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন বলেও জানান সবুজ। প্রতিদিন গড়ে ৬০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেও বিরতিহীন ১০০ কিলোমিটার হেঁটে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি গন্তব্যস্থল তেঁতুলিয়ায় পৌঁছাবেন তিনি।