দিনাজপুরের হিলিতে তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে গম ও সরিষার ফলন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষক। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্যা না হলেও কুয়াশা আরও বাড়লে সমস্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
এদিকে, জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, আজ (গতকাল) দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩ / ৪ কিলোমিটার যা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৮ / ১১ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
হিলির দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে হিলিতে বেশ শীত পড়েছে, সেই সঙ্গে ঝরছে কুয়াশা। শীত আর কুয়াশার কারণে গমের আবাদ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছি। শীতের কারণে গমের গাছ বাড়ছে না। কয়েক দিন আগেও যেমন ছিল এখনো তেমন আছে। রস না থাকায় গাছ একেবারে ঝিম ধরে আছে। শীতের কারণে গম লাল বর্ণের একটি রোগ আসে যেটি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওষুধ স্প্রে করতে হয়। এতে খরচ একটু বেশি হয়।’
একই গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সরিষার কিন্তু এই শীতের কারণে সমস্যা হবে। অনেক গাছ মারা যাবে ঠিকমতো ফলন হবে না। যার কারণে আমাদের খরচ বেশি হবে। এতে কৃষকদের রবিশস্য ক্ষতির মুখে পড়তে হবে শুধুমাত্র আবহাওয়া জনিত কারণে।’
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, বর্তমানে যে কুয়াশা পড়ছে তাতে তীব্রতা সেরকম নেই, এতে ফসলের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।