নীলফামারী সদরে ঝড়ে বাড়ির ওপর উপড়ে পড়া গাছ অপসারণ না করায় এক সপ্তাহ ধরে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে একটি পরিবার। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে রাস্তার ধারের সরকারি গাছটি সরানোর জন্য মৌখিক ও লিখিত আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি।
খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান প্রধান বলেন, ‘গাছটি অপসারণ করা জরুরি। আমরা গাছটি কাটার ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদে রেজ্যুলেশন করে গত রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দিয়েছি। তিনি লোক পাঠাবেন বলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত কোনো লোক পাঠাননি। সরকারি গাছ হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।’ ।
আর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন, ‘আমি জানার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গাছটি অপসারণ করতে বলেছি। কিন্তু তিনি এখনো সেটি না করার কারণ জানি না। আমি সেটি অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
জানা গেছে, ১৭ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঝড়। ওই ঝড়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে উপড়ে পড়ে অসংখ্য গাছপালা, বিধ্বস্ত হয় ঘরবাড়ি। ঝড়ে দক্ষিণ কিষামত গোড়গ্রাম গ্রামের সরকারি রাস্তার ধারে একটি বিশাল আকৃতির আমগাছ উপড়ে পড়ে দিনমজুর নজরুল ইসলামের বাড়িতে। এতে করে পরিবারটির ছয় সদস্য প্রাণে বেঁচে গেলেও গাছচাপায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় পরিবারটি তিনটি টিনশেডের ঘরসহ ঘরে থাকা সব আসবাব।