Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

সার্জন নেই সাড়ে তিন বছর

বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

সার্জন  নেই সাড়ে তিন বছর

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে সাড়ে তিন বছর ধরে নেই ভেটেরিনারি সার্জন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জনের দায়িত্ব পালন করছেন, সঙ্গে দিচ্ছেন চিকিৎসা। ভেটেরিনারি সার্জন না থাকার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ইউএনও এম মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বারহাট্টা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সার্জন না থাকার বিষয়ে আমি অবগত। এটি আমাদের মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই সেটার সমাধান হয়ে যাবে।’

বারহাট্টা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন আবদুল মোতালেব প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে বদলি হন। এরপর মো. বিল্লাল হোসেন ভেটেরিনারি সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। তিনি মাত্র এক মাস পর পদোন্নতি পেয়ে তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে যান। তারপর থেকে ভেটেরিনারি সার্জনের পদটি শূন্য রয়েছে।

এদিকে উপজেলায় ছোট, মাঝারি ও বড় খামারির সংখ্যা ৪০-এর বেশি। এ ছাড়া রয়েছে হাঁস, মুরগি, ছাগল, ভেড়া, কবুতর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খামার। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন না থাকায় এসব খামারি পড়েছেন বিপাকে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় ভেটেরিনারি সার্জন থাকা খুব দরকার। এই উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে গরু, ছাগল ও পশু-পাখির খামার। একজন ভেটেরিনারি সার্জন অসুস্থ পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চিকিৎসা করে থাকেন। এ ছাড়া জখম পশু-পাখির ড্রেসিং করা, অস্ত্রোপচার, বিভিন্ন রোগের টিকা, পশু চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে পশুর মালিকদের পরামর্শ দেওয়া, অসুস্থতার ধরন অনুযায়ী ওষুধ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তিনিই করে থাকেন। কিন্তু উপজেলায় ভেটেরিনারি সার্জন না থাকায় খামারি থেকে গৃহে পশু পালনকারীরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বারহাট্টা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে চিকিৎসা নিতে আসা সদর ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, ‘সাত মাস বয়সী বাছুরের চিকিৎসার জন্য সকাল থেকে বসে আছি। ভেটেরিনারি সার্জন না থাকায় এখন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসা করবেন।’

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ‘তিন বছরের বেশি সময় পদটি খালি রয়েছে। বাধ্য হয়ে আমিই চিকিৎসা করছি। চিকিৎসাসেবা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম একই সঙ্গে করা আমার জন্য অনেক কষ্টের। তারপরও কী আর করা। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সেবা দিতে হচ্ছে।’

বারহাট্টা উপজেলার মতো খালিয়াজুড়ি উপজেলায়ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে অনেক দিন ধরেই ভেটেরিনারি সার্জন নেই। উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে ভেটেরিনারি সার্জন শূন্যপদ পূরণের জন্য অনেকবার বলা হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। ফলে পশু চিকিৎসা ও পালনের বিষয়ে তথ্য পাচ্ছেন না খামারিরা। এমনকি যাঁরা বাড়িতে গরু–ছাগাল পালন করছেন তাঁরাও রোগে আক্রান্ত পশুর চিকিৎসা করাতে গ্রামের পশু ডাক্তারের সাহায্য নিচছেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ