সাগর সিকদার, ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় তাঁর বয়স ছিল ছয় মাস। ঘূর্ণিঝড় সিডরের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা ‘যুদ্ধ’ করে অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় সে। সাগর এখন তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
পড়ালেখার ইচ্ছা থাকলেও প্রধান অন্তরায় দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে আছে। ১৫ নভেম্বর ভয়াল সেই দিনের স্মৃতি তার কাছে গল্পের মতোই। পরিবারের দাবি সরকার যাতে সাগরের লেখাপড়া করার ব্যবস্থা করে।
জানা গেছে, তালতলীর খোট্টার চর এলাকায় কোনো বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই। সেখানেই ২ হাজার পরিবারের ভেতরে সাগরের পরিবার রয়েছে। সিডরের সতর্কবাণী উপেক্ষা করেও চরে ছিল তার পরবার। পরে সিডরের সময় বাড়িতে থাকা সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঢেউয়ের তোড়ে বাবার হাত থেকে ছুটে যায় সাগর। পরে একটি নারিকেল গাছের ওপর থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে।
সাগরের বাবা শশী সিকদার বলেন, সাগরের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে আছে। সরকার যেন ওর লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার হোসেন বলেন, ‘খোঁজখবর করে সাগরের লেখাপড়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’