হোম > ছাপা সংস্করণ

অতিরিক্ত ব্যবহারে কার্যকারিতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে এসব ওষুধের কার্যকারিতা কমছে। ফলে অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় ওষুধ কাজ করছে না। এই তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা সতর্ক করে বলেছেন, ‘এমন পরিস্থিতি যেন না আসে যে দরকারের সময় আমরা ওষুধ পাচ্ছি না।’

রাজধানীতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) অডিটোরিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত অ্যান্টিবায়োটিক সপ্তাহের শেষ দিনের আয়োজনে মীরজাদী সেব্রিনা এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। ‘সচেতনতা ছড়িয়ে দিন, অকার্যকারিতা রোধ করুন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের আয়োজনের শেষ দিনে তিনটি বিষয়কে লক্ষ্য করে তিনটি দল তাদের গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে। এসব গবেষণায় অ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকর হয়ে পড়ার তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘এখন আমাদের কাজ করতে হবে নীতি নির্ধারণ নিয়ে। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নির্দিষ্ট নীতি নির্ধারণ না করা হলে এর ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। শুধু ডাক্তার নয়, সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক সময় ফেসবুকে একজনের প্রেসক্রিপশন অন্যজনের সঙ্গে আদান-প্রদান করি। উপসর্গ একই হলেই যে একজনের ওষুধ অন্যজন ব্যবহার করতে পারবেন—এটা ভুল ধারণা। এই ধারণা দূর করতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’

গবেষক দলের প্রধান জাকির হোসেন বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের ধর্মই হচ্ছে আপনি এটাকে যত ব্যবহার করবেন, এর কার্যক্ষমতা ততই কমে যাবে। একই ওষুধ বারবার ব্যবহার করলে জীবাণুগুলো প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। ডাক্তাররা যেই ওষুধগুলো কম ব্যবহার করছেন, সেগুলোই এখন ভালো আছে।’ তিনি বলেন, গণহারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে জেনেবুঝে চিকিৎসকের পরামর্শে তা গ্রহণ ও বিক্রি করতে হবে।

করোনার সময় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করেছেন মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান রুবিনা ইয়াসমিন। তাঁর গবেষণায় উঠে এসেছে করোনার সময় প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়েছে। রুবিনা ইয়াসমিন বলেন, ভাইরাসজনিত জ্বরের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো কাজই নেই। তিনি জানান, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মধ্যে হাসপাতালের বাইরে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে অ্যাজিথ্রোমাইসিন। হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে সেফট্রিয়াক্সোন ও মোক্সিফ্লোক্সিসিন। এই যথেচ্ছ ব্যবহারের অপকারিতা এখন বোঝা না গেলেও পরবর্তী সময়ে অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইডিসিআরের পরিচালক তাহমিনা শিরিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জীবাণুর ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বিষয়টি নজরদারির কাজ ২০১৭ সাল থেকে চলছে। এখনই সতর্ক না হলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআরের নির্বাহী পরিচালক তাহমীদ আহমেদ, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের যুক্তরাষ্ট্রের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সুসান (নিলি) কায়ডোস ড্যানিয়লস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. বরদান জং রানা, নিতীশ দেবনাথ, এনআইএলএমআরসির পরিচালক এহসানুল হক।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন