টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের শতভাগ নাগরিককে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভা মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, ২০২০ সালে ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তখন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় টাঙ্গাইল পৌরসভার পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত বছরের ৩০ জানুয়ারি পৌরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হই। ১১ মার্চ দায়িত্ব নেওয়ার পর করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম আরও গতিশীল করার চেষ্টা করি। পৌরসভায় মোট ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ১৭০ জন। ইতিমধ্যে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩০০ মানুষকে টিকা দিওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং অস্থায়ীভাবে বসবাসরত জনগণকেও করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। যার ফলে বলা যায় যে, পৌর এলাকায় শতভাগ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
মেয়র এ এম সিরাজগঞ্জ হক আলীর আরও বলেন, সবার সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যারা টিকা নিতে আগ্রহী নন তাঁদের কিছু সংখ্যক টিকা নাও পেতে পারেন। এ ছাড়া পৌর এলাকায় বিনা মূল্যে প্রায় ২ লাখ মাস্ক, দুই হাজার অ্যান্টিসেপটিক সাবান, এক হাজার হ্যান্ডওয়াশ, ১৫ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হাত ধোয়ার জন্য পানির লাইনসহ বেসিন স্থাপন করা হয়েছে। গরিব ও সুস্থদের মধ্যে দুই লাখ খাবার প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, পৌরসভার প্যানেল মেয়র তানভীর হাসান ফেরদৌস নোমান, পৌরসভার সচিব শাহনেওয়াজ পারভীন, নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী উপস্থিত ছিলেন।
শতভাগ ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে টাঙ্গাইলের পৌরসভার সচিব শাহনেওয়াজ পারভীন বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন দেশে আসার পরেই আমরা চেষ্টা করেছি পৌর এলাকার ১৮ বছরের বেশ বয়সী সব নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে। আমরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় গণ টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করি। আমরা আমাদের নাগরিকদের শতভাগ ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি।’
সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, পৌর মেয়র আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে আমরা ভ্যাকসিনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করেছি।