অনেক চেষ্টা-তদবিরের পর অবশেষে একটি সেতু পেয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু সেই সেতুর পাশের মাটি ধসে যাওয়ায় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে সুবিধার পরিবর্তে এখন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেতুর দুই পাশের আট গ্রামের মানুষ।
ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত মাটি ভরাট করে চলাচলের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ফুলপুর উপজেলার বাইশকাহনিয়া-রামসোনা বাজারের সড়কে ইছামতী নদীর শাখা খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ছনধরা ইউনিয়নের বাইশকাহনিয়া-রামসোনা বাজারের সড়কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সেতুটি নির্মাণ করে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পরে সেতুর পাশে মাটি দেওয়া হয়। কিন্তু গত বর্ষায় মাটি ধসে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।
দুর্ভোগের শিকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেতুর একপাশে রয়েছে বানিযান, হাসিনখিলা, তারাকান্দা, বাইসকাহানিয়া গ্রাম। আর অপর পাশে রয়েছে রামসোনা, পূর্ব রামসোনা, লাউয়ারী, তালুকদানা। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে বলে তাঁরা জানান।
বানিযান গ্রামের ব্যবসায়ী সবুজ বাসার বলেন, বেহাল সড়কের কারণে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য ও মালামাল বাজারে নিয়ে-আসা করতে বিপাকে পড়েন।
রামসোনা গ্রামের এমদাদুল হক বলেন, ‘বহুদিন পর অনেক চেষ্টা তদবিরে সেতুটি হয়েছে। এখন মাটি ধসে গর্ত হওয়ায় চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের দুঃখ আর দূর হয় না।’
সরেজমিনে জানা যায়, সেতুর পূর্ব পাশের মাটি ধসে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। খালের দুপাশে রয়েছে আট থেকে দশটি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও হাট-বাজার। এখন যাতায়াতে কোনো রকমে পায়ে হেঁটে চলা ফেরা করতে পারলেও কোনো মাইক্রোবাস বা বড় যানবাহন আসা-যাওয়া করতে পারে না।
রামসোনা মাদ্রাসার ছাত্র রফিকুল, বাবুলসহ কয়েকজন জানায়, সড়কের মাটি ধসে বড় গর্ত হওয়ায় তাদের চলাফেরায় এখন সমস্যা হচ্ছে।
হাট পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খুরশেদ আলম সরকার বলেন, এলাকার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া কষ্টকর হয়।
এ বিষয়ে ছন্দরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
ফুলপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকারিয়া আলম বলেন, ‘এলাকা পরিদর্শনের পর গর্ত ভরাটের কাজ করে অচিরেই যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হবে।’