যশোরের মনিরামপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেই শিক্ষিকাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নেয়। বিদ্যালয়ের সভাপতি আনিচুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আনিচুর রহমান বলেন, ‘ওই নারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষককে জুতা ছুড়ে মেরেছেন শুনে বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। শিক্ষিকার অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক তাঁকে শ্লীলতাহানি করেছেন। কিন্তু এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।’
আনিচুর রহমান আরও বলেন, ওই শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের আইন মানেন না। নিজের ইচ্ছেমতো চলেন। এ জন্য তাঁকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। তাতে সংশোধন না হওয়ায় তিনবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশ নেননি। এরপর গত রোববার এ ঘটনা ঘটে। এসব কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ওই শিক্ষিকা দাবি করেন, ১১ বছর ধরে তিনি দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। আড়াই বছর ধরে প্রধান শিক্ষক তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁর স্বামী একাধিকবার প্রধান শিক্ষককে সতর্ক করেছেন। তাতেও থামেননি তিনি। সর্বশেষ গত ১৪ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শিক্ষিকা আরও বলেন, ‘গত রোববার আমি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে যাই। এ সময় তিনি কক্ষে একা ছিলেন। আমাকে দেখে তিনি হাজিরা খাতা সরিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে তিনি শাড়ি ধরে টান দেন। তখন আমি জুতা ছুড়ে মারলে তিনি দৌড়ে শিক্ষকদের কক্ষে চলে যান।’
সেই শিক্ষিকা বলেন, ‘কারণ দর্শানোর দুটি নোটিশ দেওয়া হলেও আমি গ্রহণ করিনি। আজ সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে শুনেছি।’