জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষ হলে পুলিশকে জানাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সংক্রান্ত মিটিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানা গেছে। সভায় উপস্থিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাঁর এ মন্তব্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
৯ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদমাধ্যমে ‘পারিবারিক পিকনিক থেকে ৪ নারীকে থানায় নিয়ে যৌন হেনস্তার অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওসি ওই মন্তব্য করেন। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অংশ নেওয়া এক ইউপি চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসি আনোয়ারুল হোসাইন তাঁর নিজের মোবাইল ফোন থেকে যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদ দেখিয়ে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ-সংঘর্ষ হলে রামু থানা-পুলিশকে জানাবেন না। কারণ, সাংবাদিকেরা এসব ভূমিসংক্রান্ত ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে।’
থানার ওসি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘সংঘাত-সংঘর্ষ অথবা এমন যেকোনো অপরাধ ঘটলে পুলিশের আইনগত কিছু দায়িত্ব রয়েছে। অপরাধের খবর পেলে একজন ওসির ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।’
রামু উপজেলা ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, ‘রামু থানার ওসি হয়তো সাংবাদিকের ওপর ক্ষোভ থেকে এ ধরনের কথা বলে থাকতে পারেন। তিনি বক্তব্যে আরও সংযত হতে পারতেন।’
ওসি আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, ‘আমি আসলে বলেছি, জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুলিশ কখনো হস্তক্ষেপ করে না, তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে তো পুলিশ অবশ্যই যাবে।’