Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

অন্য কারও সিনেমা হলেও গর্ববোধ করতাম

অন্য কারও সিনেমা হলেও গর্ববোধ করতাম

৪৯তম টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকভারি বিভাগে জায়গা করে নিয়েছে মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম সিনেমা ‘সাবা’। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মেহজাবীন। টরন্টো উৎসবে সিনেমার প্রিমিয়ার ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে আপনার প্রথম সিনেমার প্রিমিয়ার হচ্ছে। কেমন লাগছে?
বিশ্বের বড় পাঁচটি চলচ্চিত্র উৎসবের একটি টরন্টো উৎসব। এখানে সাবা সিনেমার প্রিমিয়ার হচ্ছে। এটা অবশ্যই ভালো লাগার বিষয়, শিল্পী হিসেবে অনেক বড় পাওয়া। এত বড় চলচ্চিত্র উৎসবে আমার প্রথম সিনেমা সুযোগ করে নেবে, ভাবিনি। এটি নির্মাতারও প্রথম সিনেমা। প্রথম সিনেমাতেই এত বড় পাওয়া আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। 

আপনি কি প্রিমিয়ারে উপস্থিত থাকবেন?
টরন্টো উৎসবে এই সিনেমার চারটি শো হবে। তিনটি দর্শকের জন্য; অন্যটি আমন্ত্রিত সাংবাদিক, নির্মাতা ও শিল্পীদের জন্য। সব কটিতেই উপস্থিত থাকব। আগামীকাল (আজ) নির্মাতা মাকসুদ হোসেনের কানাডায় যাওয়ার কথা। আমি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যাব।

উৎসবে সাবার প্রদর্শনীর টিকিট ছাড়া শুরু হয়েছে। কেমন সাড়া মিলছে?
সোমবার রাতে টিকিট ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ৭ তারিখের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। আমার বন্ধুদের জন্য তিনটি টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পাইনি। সঙ্গে সঙ্গে ৮ সেপ্টেম্বরের টিকিট কাটলাম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এত সিনেমা থাকার পরও আমাদের বাংলাদেশের সিনেমার টিকিট শেষ হয়ে গেছে, বিষয়টি খুব ভালো লাগছে। যেখানে হলিউড থেকে শুরু করে ইউরোপিয়ান, আফ্রিকানসহ নানা দেশের সিনেমার প্রদর্শনী হচ্ছে, সেখানে একমাত্র বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে সাবা জায়গা করে নিয়েছে এবং মানুষ তা দেখবে। এটা অবশ্যই গর্বের। সিনেমাটি আমার না হয়ে অন্য কারও হলেও গর্ববোধ করতাম।

১৪ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেছেন। নিজেকে বড় পর্দায় দেখার জন্য নিশ্চয় অপেক্ষায় আছেন?
প্রথমবারের মতো নিজেকে বড় পর্দায় দেখব, সেটাও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। নিজের মধ্যে উদ্দীপনা কাজ করছে। যদিও ইচ্ছা ছিল দেশে নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও কলিগদের নিয়ে সিনেমাটি প্রথম দেখার। টরন্টোতে প্রিমিয়ার হওয়ায় সেটা আর হচ্ছে না। এখন কানাডার বন্ধু ও প্রবাসী দর্শকদের সঙ্গে আনন্দটা ভাগাভাগি করে নেব।

mehzabinসিনেমার গল্প ও আপনার অভিনীত চরিত্রটি কেমন?
সাবা একটি সাহসী মেয়ের চরিত্র। জীবনটা নিজের মতো করে গোছানোর চেষ্টা করে সে। যেখানে ওর সঙ্গে ওর মা এবং আশপাশের অনেকে জড়িত। সাবার জীবনের সেই জার্নিটাই তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়।

এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে বন্যার্তদের সহায়তায় মানুষের মধ্যে যে একতা দেখা যাচ্ছে, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
দেড়-দুই মাস ধরে পুরো দেশে অস্থিতিশীল একটা অবস্থা ছিল। আমরা কেউ বুঝতে পারছিলাম না, সামনে কী হবে। এ রকম একটা পরিস্থিতি কাটিয়ে না উঠতেই বন্যা এসে গেল। বন্যার্তদের সহায়তায় সবাই যেভাবে এগিয়ে আসছে, এটা খুব ভালো লাগছে। সবাই এভাবে এগিয়ে না এলে তো আমাদের দেশটাকে এগিয়ে নিতে পারব না। মনে হচ্ছে, দেশপ্রেমটা নতুন করে আমাদের সবার মধ্যে জন্ম নিয়েছে। এই সময়ে দেশকে নিজের মনে করা খুব প্রয়োজন। এমন ঐক্য যদি ধরে রাখতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতেও যেকোনো সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারব।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
সবাই যেন কোনো ভয়ভীতি ছাড়া নিরাপদে থাকতে পারে। বাক্‌স্বাধীনতা যেন থাকে। আরেকটি বিষয় হলো, সবাই যেন দেশ নিয়ে ভাবে, দেশটাকে নিজের মনে করে যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি