একই দিনে তালাক ও বিয়ে নিবন্ধনের চেষ্টার সময় সাংবাদিক দেখে পালিয়েছেন আসল ও নকল দুই কাজি। বদরগঞ্জ পৌর শহরের যাদুনগর গ্রামে গত মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার মহদীপুর গ্রামের মোস্তাফিজার রহমান মঙ্গলবার তাঁর প্রেমিকাকে বিয়ে করার উদ্যোগ নেন। এ জন্য রাত ৮টার দিকে যাদুনগর গ্রামে দলিল লেখক আনারুল সরকারের বাড়িতে দুই কাজিকে ডেকে আনা হয়। একজন নিবন্ধন বইয়ে মেয়ের আগের স্বামীকে তালাক লিপিবদ্ধ ও অন্যজন বিয়ে নিবন্ধনের উদ্যোগ নেন।
এ সময় দুজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তালাক নেওয়া কাজি নুরুল ইসলাম তড়িঘড়ি করে চলে যান। তিনি লোহানীপাড়া ইউনিয়নের নিকাহ নিবন্ধক। আরেক কাজি মোবারক উল্লাহ দাবি করেন, তিনি আসল কাজি না। কালুপাড়া ইউনিয়নের নিকাহ নিবন্ধক নজরুল ইসলামের বই তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছেন। এখানে তাঁকে জোর করে নিয়ে আসেন কয়েকজন যুবক। পরে তিনিও পালিয়ে যান।
এ সময় বর মোস্তাফিজার বলেন, তিনি প্রেমের সম্পর্ক থেকেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন। আর মেয়েটি জানান, মা-বাবা তাঁর অমতে তাঁকে অন্যের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন।
ভুয়া কাজি মোবারক উল্লাহর হাতে নিকাহ নিবন্ধন বই দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কালুপাড়া ইউনিয়নের কাজি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভুল হয়েছে, মোবারক উল্লাহর কাছ থেকে বই নিয়ে নেব। আর দেব না কোনোদিন।’
এ বিষয়ে পৌর শহরের কাজি খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘যে এলাকায় ঘটনা সেই এলাকার কাজি আমি। আমাকে ডাকা হয়েছিল তালাক ও বিয়ে নিবন্ধনের জন্য। কিন্তু আমি যাইনি। কারণ একই দিনে তালাক ও বিয়ে হতে পারে না। যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা নিয়ম ভঙ্গ করে এসেছিলেন।